আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব সাগরে সৃষ্ট মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে সাগরের উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে আরব উপদ্বীপ অভিমুখে সরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ।
গতকাল বুধবার (৭ জুন) দুই দেশের আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে, আরব সাগরের তীরে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়া থেকে বর্তমানে ৮৬০ ও মুম্বাই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করতে থাকা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ক্রমশ উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরব উপদ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আইএমডির বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতের কোনো উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বিপর্যয়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে আরব সাগরের তীরবর্তী গুজরাট রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া দেখা দিতে পারে। গুজরাটের জেলেদের আগামী কয়েকদিন মৎস্য আহরণে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে শুক্রবার সারাদিন সুরাট, নাভসারি, ডাঙ, ভালসাদ, আম্রেলি, ভাবনাগড় ও গিরসহ গুজরাটের অধিকাংশ জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ ও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
এদিকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বর্তমানে আরব সাগরের তীরবর্তী করাচি থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে এবং সেটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে।
বর্তমানে সাগরের যে অঞ্চলে বিপর্যয় অবস্থান করছে, ইতোমধ্যে সেখানকার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বাতাসের গতিবেগ পৌঁছেছে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটারে। পিএমডির সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে এবং যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে, তার আশপাশের সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, জিও টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।