ধর্ম ডেস্ক : নান্দনিক কারুকাজে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর বায়তুল আজগর মসজিদ। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদটিতে কারুকাজ করা হয়েছে মোগল, তুর্কি ও পারস্যের সংমিশ্রণে। নির্মাণে ইট, বালু, সিমেন্টের পাশাপাশি চীনামাটি ও টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে গুনাইঘর গ্রামে মসজিদটির অবস্থান।
কুমিল্লা-৪ এর সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী এমপির নিজস্ব অর্থায়ন ও সার্বিক পরিকল্পনায় দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
ক্যালিওগ্রাফি এবং ফুল লতা পাতায় আরবি অক্ষরে শোভিত করে অত্যাধুনিক এ মসজিদ নির্মাণ করতে অগণিত শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের সবুজ শ্যামল ভূমিতে নির্মিত এ মসজিদটি আজ বাংলাদেশের অনন্য এক স্থাপত্য নিদর্শন। মসজিদটির অভ্যন্তর, বাহির ও মিনার গম্বুজে রয়েছে সিরামিকসে করা শতাধিক ক্যালিওগ্রাফি।
ঐতিহ্যবাহী লিপিশৈলী শেকান্তে, সুসল দিওয়ানি ছাড়াও রয়েছে আটটি বাংলা ক্যালিওগ্রাফি। বিভিন্ন স্থানে একই মাধ্যমে স্বাভাবিক আরবি লিপিতে লেখা আছে সূরা আররহমান, আয়াতুল কুরসি এবং এর চারদিকে দৃষ্টিনন্দন চারটি সুউচ্চ মিনার শোভা পাচ্ছে, যার প্রতিটির উচ্চতা ৮০ ফুট। সাতটি গম্বুজের পাঁচটিই ঝাড়বাতি সমৃদ্ধ। একসঙ্গে প্রায় তিনশ মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন। এক কথায় মসজিদটি ঐতিহ্যের সঙ্গে চমৎকার আধুনিকতার সমন্বয়।
২০০২ সালের মাঝামাঝি সময় মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। মসজিদের ক্যালিওগ্রাফি, কারুকাজ ও নকশায় শিল্পী বশির মেসবাহ, স্থপতি শাহিন মালিকের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে মসজিদটির পেছনে ফুলে ফলে ভরা একটি বিশাল বাগান রয়েছে যা পর্যটকের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। মসজিদটি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ছুটে আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।