বিনোদন ডেস্ক : জি বাংলার পর্দায় অন্যতম রিয়েলিটি শো দাদাগিরির সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খেলার মাঠে যতই দাপটে ক্রিকেটার হোন না কেন ঘরের মধ্যে একদম পত্নিনিষ্ঠ স্বামী। দাদাগিরির মঞ্চে বেশ কয়েকটি এপিসোডে উপস্থিত থেকেছেন তাঁর স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী। তখন আপামর দর্শকেরা সাক্ষী থেকেছে এই তারকা দম্পতির খুনসুটির। তবে দাদাগিরির মঞ্চে ডোনা গাঙ্গুলী সবসময় সশরীরে হাজির না থাকলেও ওতপ্রোতভাবে তিনি জড়িয়ে থাকেন।
এই মঞ্চে যতবারই স্ত্রী ডোনার কথা ওঠে ততোবারই শরীরী ভাষা পাল্টে যায় মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলীর। বহুবার কথাপ্রসঙ্গে তিনি সর্বসমক্ষে স্ত্রীর অনেক সিক্রেট ফাঁস করেছেন। আবার নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তের কথা ও শেয়ার করেন দর্শকদের সামনে।
সৌরভ গাঙ্গুলী যে খাদ্যপান্ত এক খাদ্য রসিক বাঙালি একথা বর্তমানে আর কারোরই অজানা নয়। নিজের খাদ্য রসিকতা নিয়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কথা শেয়ার করেন তিনি। এহেন খাদ্য রসিক বরের জন্য রান্না ঘরে কি কি রান্না করেন ডোনা গাঙ্গুলী!
এরকমই এক প্রশ্ন জানতে চেয়েছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তীর পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা ঘোষ। দাদাগিরির মঞ্চে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর দিতে বরাবরই বাংলার দাদা বিরত থাকেন। কিন্তু এইবার অভিনেত্রী ঋদ্ধিমার আব্দার ফেরাননি দাদা। সৌরভ গাঙ্গুলী সাংসারিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিক্রেট ফাঁস করে দেন সর্বসমক্ষে। যা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গেছেন দর্শকেরা।
তবে উত্তর দেবার আগে ঋদ্ধিমার কাছ থেকে সৌরভ গাঙ্গুলীর সম্মতি আদায় করে নেন তিনি। গোপন তথ্য ফাঁস করবেন কিনা অভিনেত্রী সম্মতি দিলেই সৌরভ গাঙ্গুলী সর্বসমক্ষে বলেন,’ডোনা রান্না করলে তো বলব। কোনদিনই নাকি সেই পাঠশালার দিকে যান না তিনি’।
এর সাথে সাথেই দাদাগিরির সঞ্চালক সৌরভ গাঙ্গুলী আরো বলেন একদিন নাকি তিনি বাড়িতে থাকায় খবরের কাগজ পড়ছিলেন। সেখানে তাঁর স্ত্রীর ছবি সহ কিছু লেখা ছাপা হয়েছিল। নাচের সংক্রান্ত খবর ভেবে তিনি পড়তে গেলে দেখেন সেটি রান্না বিষয়ক। রান্নার বিভিন্ন রকমের রেসিপি এবং ছবি সহ ডোনা গাঙ্গুলীর খবর ছাপা হয়েছে। ঘটনাচক্রে তখন তাঁর স্ত্রী বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। মহারাজ বাড়ির পরিচারিকাকে ডেকে আসল ঘটনা জানতে পারেন।
আসল ঘটনা হলো হঠাৎ করে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বাড়িতে উপস্থিত হন। আর সেই জন্যই ডোনা গাঙ্গুলী রান্না বিষয়ক এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করেন বৌদিকে সব বলেটা কে দিল? আর রান্না কে করলো?
তখন রান্নার মাসি সরল মনে এক গাল হেসে উত্তর দেয় ‘কেন আমি সব বৌদিকে বলে দিয়েছি’। এ কথার উত্তরে কার্যত হতবাক দাদা। সবশেষে দাদা জানান যদি কোনদিন ডোনা রান্না ঘরে ঢোকেন তবে তিনি বলতে পারবেন বউয়ের হাতের কোন রান্না সবথেকে ফেভারিট। আপাতত মহারাজের এই উত্তরে ক্লিন বোল্ড দর্শকেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।