বিনোদন ডেস্ক : প্রিয় বাবাকে হারিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর ২৭ ডেসেম্বর তার বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। ১৩ দিন হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে যান তিনি। বাবা শোকে এখনও কাতর এই অভিনেতা ও তার পুরো পরিবার।
বিশেষ করে, চঞ্চল চৌধুরীর একমাত্র ছেলে শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ তার দাদাকে খুব মিস করছে। ঘুরে ফেলে এখনও দাদার আদর খোঁজ করছে শুদ্ধ। আগে দাদা-নাতির এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ ছিল চঞ্চল চৌধুরীও। কিন্তু এখন একমাত্র সন্তানকে দেখলে মন কেঁদে ওঠে এই অভিনেতার- এমনটাই জানালেন চঞ্চল চৌধুরী। বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে দাদা-নাতির খুনসুটি সময়গুলো!
এক ফেসবুক পোস্টে চঞ্চল তার বাবা ও ছেলের দুটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এই ছবি দুটো দেখলেই আমার বুকটা হুহু করে ওঠে। চোখ বন্ধ হয়ে আসে। বেশ কয়েক বছর আগের তোলা, আমার বাসায় বাবা আর শুদ্ধ। একই ভঙ্গিমায় বসে খাচ্ছে, লুডু খেলছে।’
দাদা-নাতির সম্পর্কের ভালোবাসা টেনে তিনি লিখেছেন, ‘শুদ্ধ বাবাকে ডাকতো “দাদাই” বলে, আর বাবা শুদ্ধকে ডাকতো “দাদাই সোনা” বলে।’
সবশেষে দাদার উদ্দেশ্য করে ছেলের লেখা একটি কবিতা প্রকাশ করে চঞ্চল জানান, কয়েকদিন আগে শুদ্ধ আকাশের ঠিকানায় তার ‘দাদাই’র কাছে একটা চিঠি লিখেছে। এরপর পুরো কবিতাটি তুলে ধরেন তিনি।
দাদাকে লেখা শুদ্ধর কবিতা-
‘মনে আছে দাদাই আমাকে?
আমি তোমার দাদাই সোনা।
এখন তুমি আমাদের থেকে অনেক দূরে
তোমাকে চাইলেও কেউ দেখতে পারবে না।
তুমি এখন বন্দী রয়েছ সকলের বাসার ছবির ফ্রেমে।
তোমার মনে আছে?
যখনই তুমি আমাকে দেখতে,
খুশি হয়ে আমাকে বুকে টেনে নিতে
তোমার সাথে আমার সকল মুহূর্ত আমি সব সময় মনে গেঁথে রাখব।
তুমি রয়েছ আমাদের সকলের মনে,
একটা ছোট্ট ঘর করে।
তোমাকে আজকে একটা ছোট্ট চিঠি দিচ্ছি।
তোমার দাদাই সোনার চিঠিটি একটু মন দিয়ে পড়ো
ভালো থেকো দাদাই।
উপর থেকে আশীর্বাদ করো,
যাতে তোমার মতো ভালো মানুষ হতে পারি
অজানা ঠিকানায় তোমাকে এই চিঠিটা দিচ্ছি।
যেখানেই থাকো, ভালো থেকো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।