জুমবাংলা ডেস্ক: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের আলোচিত/সমালোচিত ও সংঘটিত সেই দাদি নাতির বিবাহ বিচ্ছেদের হয়েছে। গত ১ জুন ৫০ বছর বয়সী এক দাদির সঙ্গে ১৭ বছরের নাতির বিয়ে হয়। ভোলার একটি আদালতে ৭ লাখ টাকা দেনমহরে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ওই বিবাহ করে সংসার শুরু করেন নাতি ও দাদি। বুধবার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে শশিভূষণ থানা অফিসার ইনচার্জ ও হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার কোর্ট ম্যারেজের কাগজ দেখে তাদের পরিষদে ডেকে এনে আবার বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করতে পাঠিয়ে দেন।
সাংবাদিক এম লোকমান হোসেন ইসলামী শরীয়া ও দেশীয় আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ দাদি-নাতির বিবাহ নিয়ে প্রশাসন, আইনজীবী, ইসলামী ফাউন্ডেশন ভোলার বক্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন করেন।
এদিকে শরীয়া নিষিদ্ধ বিবাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল ৬ জুন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার, স্থানীয় আলেম/উলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং দাদি-নাতির অবিভাবকের উপস্থিতে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দাদিকে ওই এলাকার ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ ও নাতিকে তার বাবার কাছে তুলে দেন।
হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পাশাপাশি আলদা থাকতে বলেছি। দাদি অন্য কাউকে বিবাহ করতে চাইলে আমরা তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।