জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় তার অভিজ্ঞতা ডাকাতিতে। যেখানে সেখানে তিনি ডাকাতি করেন না। সদস্য হিসেবে বাছাই করারও রয়েছে তার আলাদা তরিকা। দাগি আসামি, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে একাধিক, তাদেরকে তিনি বেছে নেন সহকর্মী হিসেবে।
পুলিশ পরিচয়ে দেশে যত ডাকাতি হয় তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল। ঢাকার নবাবগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ২৫০ ভরি স্বর্ণ লুটের মামলার ঘটনায় এক বছর পর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গেল বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে নবাবগঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ২৫০ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৫০০ ভরি রূপা নিয়ে তার জুয়েলারির দোকানে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস গতি রোধ করে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদেরকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তাকে অপহরণ করে। সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মানিকগঞ্জের একটি এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।
সেই ঘটনায় হওয়া মামলায় ঢাকা জেলার পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে ১৩ আসামিকে গ্রেফতার এবং ১৭৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে। তবে মূলহোতা ছিল অধরা।
ঘটনার প্রায় এক বছর পর সম্প্রতি মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ। হাজী আপেলই হচ্ছে সেই ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড; দাবি পুলিশের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করা যায় এই ধারণা যাদের মাথা থেকে প্রথমে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হাজী আপেল।
কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে বসে ১২ বছর আগে দুর্ধর্ষ একটি টিম গঠন করেন আপেল। সেই টিমে রাখা হয় সব দাগি আসামিদের। উদ্দেশ্য ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করা। সফলতা পায় আপেলের দল। ডাকাতি করতে থাকে একের পর এক। সবশেষ আড়াই বছর আগে একবার গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। মামলা আছে ১৯টি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, তদন্তকালে দেখা যায়, এই মামলার মাস্টারমাইন্ড দুর্ধর্ষ ডাকাত মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল। তিনি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করেন।
ডাকাতির টাকায় হাজী আপেল বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপেলের ডুপ্লেক্স বাড়িসহ অনেক সম্পত্তি রয়েছে। তার দুই স্ত্রী। তার বাড়িসহ সব জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। এখন তার সম্পত্তির বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’
আপেল জামিন না পেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করেন মামুন অর রশীদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।