লাইফস্টাইল ডেস্ক : গতিময় জীবনে এক মুহূর্তও শান্তি নেই আমাদের। এমন শান্তিহীন জীবনযাপন ডেকে আনতে পারে বড়সড় মানসিক ও শারীরিক সমস্যা। তাই সতর্ক করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে মাত্র ১৫ মিনিট নিজের শ্বাসের প্রতি খেয়াল করুন। বহু সমস্যা দূর হবে।
সমস্যা সমাধানে যা করবেন
আপনার গতিময় জীবনে নিজেকে একটু শান্ত করার রাস্তা জানতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের অন্তরের সঙ্গে একটু কথাবার্তা দরকার। আর এই কথাবার্তা এমনি এমনি হবে না। আপনাকে আরও বেশি করে নিজের ভিতরের আমিকে খুঁজতে হবে। ভাবছেন, এসব কি বলছি? বিশ্বাস করুন আপনার সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো কোনও রাস্তাই নেই।
এবার প্রশ্ন হল, কীভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে মনের শান্তি?
আপনার আধুনিক জীবনযাত্রা আপনাকে শান্তি এনে দিতে পারবে না। বরং আপনাকে ফিরে যেতে হবে বহু পুরনো দিনের পদ্ধতির খোঁজে। এক্ষেত্রে ধ্যান বা মেডিটেশন আপনার জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে শান্তি। এবার আপনার মনে হতেই পারে এসব মেডিটেশন আপনার দ্বারা হবে না। তবে আপনাকে খুব কঠিন কাজ করতে বলা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দিনে ১৫ মিনিট সময়ে বের করতে পারলেই মিলবে সমস্যা থেকে মুক্তি।
শ্বাসের দিকে মনোযোগ
আপনার নিজের ছোটবেলার কথা মনে করুন। সেই সময়ে কতটা আনন্দে থাকতেন আপনি! কোনও চিন্তা আপনাকে ছুঁতে পারত না। তবে এখন আর সেই দিন নেই। এখন দুশ্চিন্তা ঘিরে রাখে। তবে চিন্তা নেই, সেই শান্তির সময় খুঁজে পেতে গেলে শুধু নিজের শ্বাসের দিকে মনোযোগ দিন।
এক্ষেত্রে প্রথমে কোনও একটি জায়গায় আরাম করে বসে পড়ুন। এবার জোরে জোরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। সেই শ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিন। মনের ভিতর অন্য চিন্তা আসতে দেবেন না। প্রথম প্রথম আপনি চেষ্টা করার পরও অন্য চিন্তা আসতে পারে। কিছুদিন অভ্যাস হলেই আপনি পারবেন। তবে একবার ১৫ মিনিট নিজের শ্বাসের প্রতি এভাবে মনোযোগ দিয়েই দেখুন। ভিতর থেকে আনন্দ উপভোগ করবেন। দূর হবে উৎকণ্ঠা, অবসাদ, দুশ্চিন্তা। এমনকী ফুসফুসও ভালো থাকবে। সবমিলিয়ে শরীরে প্রাণ ফিরে পাবেন। কাজের মধ্যেও পাবেন আনন্দ।
ভারতের বিখ্যাত যোগবিদ তুষার শীল বলেন, ‘‘শ্বাসই জীবন। আমরা খাবার, পানীয় ছাড়াও চলতে পারব, কিন্তু শ্বাস ছাড়া কয়েক মিনিটের বেশি থাকা সম্ভব নয়। তাই শ্বাস নেওয়ার বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’’
এক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সচেতনভাবে শ্বাসের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলে শরীরের একাধিক লাভ। এমনকী অবসাদ কাটে, দূর হয় উৎকণ্ঠা। সবমিলিয়ে শরীর ভালো থাকে। তাই প্রাচীন ঋষিরা নিয়মিত ধ্যান, প্রাণায়াম করতেন। তারা পেতেন সুস্থ দীর্ঘ জীবন। তাদের দেখেই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।