Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ডাইনি অপবাদ নিয়ে তিন বছর ধরে ঘরছাড়া
    আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

    ডাইনি অপবাদ নিয়ে তিন বছর ধরে ঘরছাড়া

    Shamim RezaApril 26, 20235 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রামের ১২ জন আদিবাসীকে ডাইনি বলে ঘরছাড়া করা হয়েছে। করোনা মহামারীর আগের ওই ঘটনার পরে গত প্রায় তিন বছর তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থাকছেন। সেখানেও ডাইনি বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে আত্মীয়রাই।

    ডাইনি

    ঘরছাড়া ওই পরিবারের বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর আর নারীরাও আছেন। বীরভূম জেলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের কাছেই মণিকুণ্ডডাঙ্গার এক আদিবাসী পরিবারের অভিযোগ তারা স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও ঘরে ফিরতে পারেননি প্রায় তিন বছর ধরে।

    প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরে এলেও জোর করে পরিবারটিকে তারা গ্রামে ফেরত পাঠাতে চায় না, তাতে ওই পরিবারটিকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। তারা স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। মণিকুণ্ডডাঙ্গার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশেকের যশোমতী হাঁসদাকে তার গ্রামের প্রতিবেশীরাই ডাইনী সাজিয়ে ঘর ছাড়া করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) হাঁসদা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ‘গ্রামে একটা ছাগল মরেছিল। সর্দার রটিয়ে দিল যে আমিই নাকি খেয়েছি ছাগলটা। আমাকে ডাইনি সাজিয়ে দিল। আমার বাড়িতেও বিপদ ছিল তখন। কেউ বুঝল না আমার বিপদ, ডাইনি সাজিয়ে দিল।’

    স্বামী, তিন ছেলে, পুত্রবধূ আর দুই শিশু-কিশোর নাতি নাতনী নিয়ে তাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে যারা, তারাও আদিবাসী সমাজেরই মানুষ। হাঁসদার ছেলে উদয় হাঁসদার কথায়, ‘মা পুজোটুজো করত, তাই ঠাকুরতলায় পান, পাতা এসব পড়েছিল। মাই নাকি ওইসব পাতা, পান ছড়িয়ে রেখেছিল, আর তার জন্যই নাকি গ্রামে হাঁস, মুরগি, ছাড়ল সব মরে যাচ্ছে। তারা সন্দেহ করছে যে ওই কাজটা নাকি মা করেছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচটা গ্রামের লোক মিলে খুঁজে বার করে মাকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করল। ঠাকুরতলা থেকে নাকি তারা সবাই শুনে এসেছে যে মা ডাইনি। পান পাতাতে সিঁদুর দিয়ে নাকি আমার মা গ্রামের চৌমাথায় ফেলে এসেছে।’

    গ্রামছাড়া হওয়ার পরে হাঁসদা পরিবার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেই থাকছিলেন ঘুরে ঘুরে। কিন্তু সেখানেও ডাইনি বদনাম দেওয়া হয়েছে, আর গ্রামবাসীর ভয়ে আত্মীয়রাও তাড়িয়ে দিয়েছে পরিবারটিকে। হাঁসদারের স্ত্রী মেলানি হাসঁদার কথায়, ‘যেখানে, যার বাড়িতে গেছি, সেখানেও রটিয়ে দিয়েছে যে আমাদের ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমার নিজের ভাইও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাকেও বলেছে যে তোমার দিদির দুটো মেয়েকে বাড়িতে রেখেছ, ওরাও তো ডাইনি! গ্রামের লোকের চাপে আমার ভাই বাড়ি থেকে বার করে দিল। তারপরে আমার বোনের বাড়িতে থাকি।’

    মেলানি বলেন, ‘এভাবেই ঘুরে ঘুরে তিন বছর কেটে গেল। বাচ্চাগুলো স্কুলে পড়ত, তারাও স্কুল যেতে পারে না, পড়াশোনা করতে পারে না ঠিকমত। আমরা আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোনমতে খেয়ে পরে আছি।’

    বীরভূমে আদিবাসীদের মধ্যে প্রায় আড়াই দশক ধরে কাজ করেন অ্যাক্টিভিস্ট কুনাল দেব। তিনি বলছেন, ‘মনিকুণ্ডডাঙ্গার ঘটনাতে দুটো বিষয় জড়িত আছে। প্রথমত যাকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়েছে, সেই যশোমতী হাঁসদা গ্রামের ঠাকুরতলায় পুজো করতেন। আবার স্থানীয় এক প্রভাবশালীর দুই আত্মীয়ও পুজোর কাজ শুরু করেছিলেন। হাঁসদারের কারণে তাদের পসার জমাতে সমস্যা হচ্ছিল বলে একটা পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন চালানে হয়। আবার এই পরিবারটি এক মালিকের বড়সড় মাপের জমিতে ভাগচাষী হিসাবে কাজ করতেন। ভাগচাষীদের সরিয়ে দিতে পারলে জমিটা কম খরচে বিক্রি করে দেওয়া যাবে।’

    কুনাল দেব বলেন, ‘জমি আর ঠাকুরতলার পুজো এই দুটো কারণেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা হাঁসদা পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। তবে এটা বীরভূমে বেশ আশ্চর্যজনক ব্যাপার। ওখানকার জমি মূলত এক ফসলী। তাই জমির জন্য ডাইনি অপবাদ দিয়ে গ্রাম ছাড়া কার উদাহরণ খুব বেশি দেখা যায় না। আবার গ্রাম থেকে শুধু না, এমনকি আত্মীয়স্বজনদের এলাকাতেও গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে এলাকা ছাড়া করা হবে, এরকম সাধারণত দেখা যায় না। আসলে বোলপুর শহর লাগোয়া অঞ্চলে জমি হাঙ্গরদের দৌরাত্ম এতটাই বেড়ে গেছে তথাকথিত উন্নয়নমূলক প্রকল্প, হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদির ফলে, তাই যে কোনো জমিই এখন বহুমূল্য হয়ে উঠেছে।’

    তবে ইতিহাস বলছে জমি থেকে হঠাতেই সবথেকে বেশি ডাইনি অপবাদ দেওয়ার চল রয়েছে, ‘সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান’ এর প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলছিলেন দেব। হাঁসদা পরিবার জানাচ্ছে গ্রাম থেকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার পরেই তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং পুলিশের কাছে গিয়েছিল, কিন্তু কোনো সহায়তা পায়নি।

    প্রশাসন আর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে তারা যোগাযোগ করে তপশীলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে থাকা শ্রেণী এবং সংখ্যালঘুদের ‘জয়েন্ট ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে। তারাই সোমবার (২৪ এপ্রিল) বোলপুরের মহকুমা শাসকের কাছে হাঁসদা পরিবারকে নিয়ে ধর্না দিতে এসেছিল।

    সংগঠনটির সভাপতি বৈদ্যনাথ দাসের কথায়, ‘গত প্রায় ছয়মাস ধরে আমরা এই পরিবারটিকে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। এখন আমরা চাইছি এরা যেভাবে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে থাকছে, সেখান থেকেও বিতাড়িত হচ্ছে, তার বদলে প্রশাসন এদের অস্থায়ীভাবে একটা থাকার জায়গার ব্যবস্থা করুক। গত তিন বছরে এদের কোনো আয় নেই, তাই আত্মীয় পরিজনের কাছ থেকে ধার কর্জ করে চলছে। প্রশাসন সেই ধারদেনাটার অর্থটা একটা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিটিয়ে দিক।’

    সাহার প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের কথা মতো প্রশাসন একটা ব্যবস্থা করেছিল রূপপুরের দিকে একটা গ্রামে। কিন্তু সেটাও আদিবাসী গ্রাম। তাই আমরা রাজী হই নি। কারণ সেখানেও যদি তাদের ওপরে স্থানীয়রা চড়াও হয়! বোলপুরে তো কত সরকারী ভবন আছে, সেখানে কোথাও এদের থাকার ব্যবস্থা করা যায় না?

    সোমবার রাত থেকে অবশ্য হাঁসদা পরিবারের ১২ জন সদস্যকে একটা কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান চন্দ্র রায় বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘ওই পরিবারটিকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে যে তিন বছর বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে, ঘটনাটা আমি জানি। আমরা হয়তো প্রশাসনিক জোর খাটিয়ে গ্রামে তাদের ফিরিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু গ্রামে এদের ব্যাপারে একটা ক্ষোভ আছে, কতদিন আমরা আর পুলিশ পাহারায় রাখব ওদের। তাই যদি জোর করে ফেরত দিয়ে আসি, তাহলে এই পরিবারটিকেই আমরা আরও বিপদের মুখে ফেলব। তাই আমরা সেটা চাইছি না।’

    ক্ষেপে গিয়ে কাকে ‘ছোটলোক’ বললেন অনন্ত জলিল

    বীরভূমের জেলাশাসক বিধান চন্দ্র রায় বলেন, ‘গ্রামের সব পক্ষকে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি যাতে তারা নিজেরাই ফিরিয়ে নেয় এই পরিবারটিকে। একই সঙ্গে ওই এলাকায় আমরা সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছি ডাইনি প্রথার বিরুদ্ধে। সেটাও আমাদের পরিকল্পনারই অংশ। সব রকমভাবে চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত পরিবারটিকে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অপবাদ আন্তর্জাতিক ওপার ঘরছাড়া ডাইনি তিন ধরে নিয়ে, বছর বাংলা
    Related Posts
    ট্রাম্প

    আরও ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল ট্রাম্প প্রশাসন

    July 12, 2025
    সৌদি আরবে অনুমতি ছাড়া

    সৌদিতে মাছ ধরার নিয়ম না জানায় বাংলাদেশির করুণ পরিণতি

    July 12, 2025
    নিজ সেনাদের মৃত্যুতে

    নিজ সেনাদের মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত ইসরাইলি সাংবাদিক আটক

    July 12, 2025
    সর্বশেষ খবর
    গুগলের জেমিনি

    ছবিকেই বানিয়ে দিল দুরন্ত ভিডিও — চমক নিয়ে এলো গুগলের জেমিনি!

    হৃতিক রোশন

    ৪৩তম জন্মদিনে হৃতিক রোশন নিলেন এক সাহসী সিদ্ধান্ত

    Sensitive-plant

    লজ্জাবতী গাছ, ঔষধি শক্তিতে ভরপুর এক বিস্ময় বনজ উদ্ভিদ

    ওয়েব সিরিজ

    ভরপুর রোমান্সের দৃশ্য নিয়ে মুক্তি পেল প্রাইম প্লের নতুন ওয়েব সিরিজ

    সানি লিওন

    নীল সিনেমায় অভিনয় করতে হলে যে বিশেষ ধরনের দক্ষতা থাকতে হয়, জানালেন সানি

    রতন টাটা

    যে নায়িকার প্রেমে পড়ে জীবনে বিয়েই করেননি রতন টাটা, কে সেই রহস্যময়ী প্রেমিকা?

    Dutch Bangla Bank

    ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএসে মাসে ৫ হাজার টাকা জমা রাখলে ৫ বছর পর কত রিটার্ন পাবেন

    বিএনপি নেতা

    প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক; বিএনপি নেতাকে গাছের সাথে বাঁধল গ্রামবাসী

    Co

    বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি, ঢাকা’র নতুন কমিটি

    দলিল

    নতুন ভূমি আইনে সাত ধরনের দলিল বাতিল, জানুন সর্বশেষ আপডেট

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.