যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে একটি খেলনা পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ যুবদলের চার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টার অভিযানে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যান।
আটকরা হলেন, পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পুলিশ জানায়, আটকরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটক চারজনই যুবদলের সক্রিয় কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির দায় দল নেবে না।
আমি জানিয়েছে দিয়েছি দলে থেকে কেউ অপকর্ম করলে তাদের দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও সহযোগিতা করা হবে।’
শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার রাতে হাটখোলা মোড়ে অবস্থিত রজনী নিবাস হোটেলের ৪র্থ তলার ৪০৮ নম্বর রুমে যশোর-চুকনগরগামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি চলছিল।
খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় ওই রুমের ভেতর থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি খেলনা পিস্তল, একটি সুইচ গিয়ার চাকু। পরে মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় চারজনকে আটক করা হয়। তবে হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হুমায়ুন ফয়সালসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।