জুমবাংলা ডেস্ক : সাপে সাপে শঙ্খ লাগা”! এই শঙ্খলাগা ব্যাপারটি আসলে কি??? কেউ বলে সাপের খেলা, কেউবা বলে বৃষ্টি নামবে, আবার কেউবা বলে এটি নাকি ঈশ্বরের মায়া। কিন্তু মানুষ শঙ্খ লাগা ব্যাপারটা কে নিয়ে যেগুলি ভাবেন সেগুলি সম্পূর্ণই ভুল।
মানুষ যেটিকে সাপের শঙ্খ লাগা ভেবে মাথায় হাত ঠেকান সেটি আসলে দুটি সাপের মি ল ন। সাপের অন্যান্য এই ভালোবাসার দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না। গ্রামবাংলায় মাঠে যারা চাষাবাদ করেন তারা এই দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকেন কারণ এই দৃশ্য সচরাচর শহরের দিকে দেখা যায় না। গ্রাম বাংলার দিকে মাঠে-ঘাটে এই ঘটনা ঘটতে দেখতে পাওয়া যায়।
সাপের শঙ্খ লাগা একটি প্রাকৃতিক বিষয়। বিভিন্ন প্রাণীর যৌ ন মি ল ন হয়। সাপও ঠিক তেমনভাবে প্রজননের জন্য মি ল ন ঘটায়। সাপের প্রজননের নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই নির্দিষ্ট সময় তাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মি ল ন উদ্দীপিত হয় এবং প্রেম বিষয়টি প্রাধান্য পায়। খাদ্য, নিরাপত্তা, তাপমাত্রা এবং সঙ্গীর সহজলভ্যতা-এই বিষয়গুলোর উপর সাপের মি ল ন নির্ভর করে।
সাধারণত গ্রীষ্ম থেকে বর্ষাকাল মি ল ন এর জন্য উপযুক্ত সময় তাই এই সময় সাপের মি ল ন বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় দুটি পুরুষ সাপের মধ্যেও শঙ্খ লেগে যায়, আসলে নিছক খেলার ছলে অথবা পৌরুষ জাহির করার জন্য মারামারি করতে গিয়ে এদের শঙ্খ লেগে যায়।
হিন্দু মতে সাপের সঙ্খ লাগা নাকি শুভ! অনেকেই সাপের শঙ্খ লাগা দেখেছেন। সাপেরা সম্ভবত একই প্রজাতির সাপের সাথে সঙ্গম করে না। কিন্তু এবার যে ভিডিওটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দুটি বিষধর সাপ বন্যসঙ্গমে মেতে উঠেছে, এবং অবাক করার মত বিষয় হলো এটি যে সাপ দুটি একই প্রজাতির সাপ।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সাপের শঙ্খ দেখার জন্য বহু মানুষের ভিড় জমেছে। এবং একটি গামছা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে সাপ দুটি ওই গামছাটির মধ্যে উঠে গিয়ে মি ল ন এ উদ্দীপিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।