ডাকসু নির্বাচন একটি পরিকল্পিত নির্বাচন ছিল। কাকে কত শতাংশ ভোট দেয়া হবে, কোন হলে কাকে জেতানো হবে সব পূর্বনির্ধারিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর কড়ইতলায় এক পথসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ব্যালটপত্র পর্যন্ত ব্যক্তিগত প্রেস থেকে ছাপানো হয়েছে। এ নিয়ে কারও মন খারাপ হওয়ার কিছু নেই। ছাত্রদল দীর্ঘ ১৫ বছর রাজনীতি থেকে দূরে ছিল, কিন্তু আগামী দিনের জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থেকে দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে অভিযোগ করে পাপিয়া বলেন, অপরাধ করলে মানুষের অনুশোচনা থাকা উচিত, কিন্তু শেখ হাসিনার কোন অনুশোচনা নেই। দেশে আওয়ামী লীগের ভোটার ও সমর্থকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অথচ শেখ হাসিনা বিদেশে থেকে যেসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাতে তার দলের সাধারণ কর্মীরাও হুমকির মুখে পড়ছে।
সরিষার মধ্য ভূতের প্রসঙ্গ টেনে পাপিয়া মন্তব্য করেন, ড. ইউনূস সাহেবের ক্ষেত্রেও সরিষার মধ্যে ভূত ছিল। ভূতকে সরাতে না পারলে শহিদ আবু সাঈদ মুগ্ধ যে রক্ত দিয়েছে, তার সঠিক মূল্যায়ন হবে না।
পাপিয়াকে নিয়ে নানা সমালোচনার জবাব দিয়ে তিনি বলেন, আজ যারা আমাকে হাইব্রিড বলছেন, তারা ভুলে গেছেন নাটোরের গোপালপুরের মাটিতে এরশাদকে জুতাপেটার ইতিহাস আমার আছে। বিচারপতি শামসুদ্দীন মানিককে এক হাত দেখানোর ইতিহাসও আমার আছে। আমি এসি ঘরে বসে প্রমোটেড নেতৃত্ব নই, আমি আন্দোলনের মাঠ থেকে উঠে আসা কর্মী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।