বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সফল দুই অভিনয়শিল্পী তারা। ভালোবাসে ঘর বেঁধেছেন, একই ছাদের তলায় তাদের সুখের সংসার। বলছি জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী ও প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমীর কথা। শোবিজের তারকাদের সংসার ভাঙার হিড়িকে তারা সুখী দাম্পত্যের উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবেই চিহ্নিত।
ওমর সানী-মৌসুমী-জায়েদ খান ইস্যুতে কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল সিনেমাপাড়া। উত্তাল তো হবেই কারণ, জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মৌসুমীকে বিরক্ত ও সংসার ভাঙার অভিযোগ আনেন ওমর সানী। তবে স্বামীর ওই অভিযোগের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জায়েদকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দেন মৌসুমী। যদিও পরবর্তীতে তিনি ছেলে ফারদিনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘যা বলেছি রাগের মাথায়’।
চলমান এই তর্ক-বিতর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি এই জনপ্রিয় তারকা দম্পতির সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে? তারা কি আলাদা থাকছেন? নেটিজেনদের এমন কৌতুহলী ও অনুমাননির্ভর প্রশ্নের জবাব দেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। পরবর্তীতে মৌসুমী-ওমর সানী তার পরিবার নিয়ে রাতে খাবার টেবিলে বসে ছবি ও ভিডিও আপলোড করেন। তখন ভক্তকূলের প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে শুরু করে তারা।
কিন্তু কতিপয় ফেসবুক কিংবা ইউটিউবার নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও অডিও ইডিট করে তা আপলোড দেয়। এতে মূল ঘটনা থেকে সরে গিয়ে ওমর সানী কিংবা মৌসুমীর বদনাম হতে থাকে। এবার সেই সব মানসিকতা নিয়ে মানুষদের একহাত নিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। মঙ্গলবার (২১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।
সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কতগুলো অথর্ব কানা বেয়াদব, ছাগল-পাগল যা ইচ্ছা বলছে ইউটিউবে, শুধু কয়েকটা ডলারের লোভে। সবাই নয়, (শিল্পী ছাড়া আর কোনো সাবজেক্ট নেই) please be positive.
এর আগে ফেসবুক লাইভে ওমর সানী জানিয়েছেন, ‘আমি বিয়ে করেছি ২৭ বছর আগে। আমার ফুটফুটে দুটি সন্তান রয়েছে। আমার ছেলে বিয়েও করেছে। আমার পরিবারের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত, আমার স্ত্রীর ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত, আমার ছেলে-মেয়ের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমি চাই না, এই ২৭ বছরে এসে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি (পরিবারের মধ্যে) হোক।’
দর্শকের কাছে সানীর অনুরোধ, কেউ মৌসুমীকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। যদি করতেই হয়, আমাকে নিয়ে করেন। আমি আমার পরিবার সঙ্গেই থাকতে চাই। আমার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়েই থাকতে চাই। সবাই ভালো থাকবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।