জুমবাংলা ডেস্ক : বাজারে দাম বেড়েছে চাল, আলু ও মিল্ক ভিটা প্যাকেট দুধের। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে সবজির দাম তেমন বাড়েনি। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। লম্বা বেগুন, গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দুলের কেজি ৭০ টাকা, মটরশুঁটির কেজি ১২০ টাকা।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। তিনদিন আগেও আলুর কেজি ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের আলু বিক্রেতা মো. কবির বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সেভাবেই আলু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। মানভেদে আলুর প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। বার্মার আদার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মশুর ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০। খোলা আটার কেজি ৫০ টাকা।
বাজারে মিল্ক ভিটার প্রতি লিটারে প্যাকেট দুধের দাম বেড়েছে। ৭ টাকা দাম বাড়িয়ে লিটার বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া আধা লিটার দুধের প্যাকেট এর দাম বেড়েছে ৫ টাকা। আধা লিটার মিল্ক ভিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
কালশী বাজারের প্যাকেটজাত দুধ বিক্রেতা মো. জামাল বলেন, মিল্ক ভিটা কোম্পানি দুধের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমানে মিল্ক ভিটার ১ লিটার দুধ বিক্রি করছি ৮০ টাকায়। আগে বিক্রি করতাম ৭৩ টাকা। আধা লিটার প্যাকেট বিক্রি করতাম ৪০ টাকায়। এখন তা ৪৫ টাকা। কোম্পানির লোকেরা বলছে, সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে দুধের দামও বাড়ানো হয়েছে।
এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকার নিচে নামেনি। খাসির মাংস ৯০০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা। একসপ্তাহ আগে কেজি ছিল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। ২৮ চালের কেজি ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। আগে দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের মকবুল রাইস এজেন্সির কর্ণধার কামাল সরকার বলেন, রাইস মিল মালিকরা নানান অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়েছেন। সরকার চালের মজুদ ঠেকাতে পারছে না। এসব কারণেই চালের ভরা মৌসুমে দাম বেড়েছে।
বাজারের ক্রেতা মো. মাহবুব বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন পণ্যের দাম বাড়েনি? প্রতিদিনই কোনো না কোনোটার দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি এক পয়সাও। সংসারের খরচ মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সূত্র : বাংলানিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।