আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজকাল অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে জীবনের প্রায় সব কিছুই শেয়ার করছেন সামাজিক মাধ্যমে। ছুটির দুপুরে বানানো বিশেষ খাবার থেকে শুরু করে সদ্য কেনা নতুন পোশাক, সব কিছুর ছবিই শেয়ার করছেন সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু মাঝেমধ্যে এই চেনা হিসেবটা উলটেপালটে যেতে পারে। হয়তো সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করার কারণে জীবনে অশান্তি শুরু হতে পারে। তাই সামাজিক মাধ্যমে ও বাইরে সুখী জীবন বজায় রাখতে কিছু বিষয় শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন-
বেডরুমের ছবি : শোওয়ার ঘর কিন্তু একান্তই ব্যক্তিগত জায়গা। বেডরুমে তোলা সেলফি বা ঘুমন্ত স্বামী বা স্ত্রীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলে আপনার সঙ্গী পছন্দ নাও করতে পারেন। একান্ত ঘরোয়া কোনও ছবি পোস্ট করার আগে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে নিন।
দাম্পত্যজীবনের খুঁটিনাটি : স্বামী বা স্ত্রীর ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশি কথা না বলাই ভালো। সংসারের সব গল্পের ঝুলিও ইন্টারনেটে জানাবেন না। আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য সামাজিক মাধ্যমে চলে গেলে আপনাদেরই সমস্যা হতে পারে।
প্রতিটি উপহারের ছবি : সারাক্ষণ যদি এ সব ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তা হলে মনে হতে পারে আপনি কিছু একটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। বিবাহবার্ষিকী বা বিশেষ দিনের বাছাই করা ছবি পোস্ট করতেই পারেন, তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়।
দাম্পত্যকলহের কথা : পারিবারিক অশান্তির কথা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা মানে আরও বড়ো বিপর্যয় ডেকে আনা। স্বামীর কোনও কাজ অপছন্দ হলে সেটা নিয়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। একইভাবে বন্ধু বা পরিবারের অন্য সদস্যদের মতামত প্রয়োজন হলে তাদের সঙ্গে আলাপ করুন, কিন্তু সামাজিম মাধ্যমে নয়।
বেনিফিট অফ ডাউট দিতে দ্বিধা করবেন না : ধরা যাক রাত পর্যন্ত অফিস করে সহকর্মীদের সঙ্গে ডিনার করতে গেছেন আপনি। এবার সে জমায়েতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হলে আপনার সঙ্গী ভাবতেই পারেন আপনি তাকে মিথ্যে বলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এই জায়গাতেই বেনিফিট অফ ডাউটের ভূমিকা। একইভাবে সঙ্গীকে সেই স্পেসটা দিন। মনে রাখবেন খোলামনে মেলামেশার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সফল সম্পর্কের রসায়ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।