নাচ শিখতে টানা ১০ বছর ট্রেনে চড়ে ঢাকা এসেছেন মম

জাকিয়া বারী মম

বিনোদন ডেস্ক : এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন মন জাকিয়া বারী মম। তার শিল্পী জীবনের শুরুটা হয়েছিল অন্যরকম। মাত্র ৩-৪ বয়সে নাচ, গান, ছবি আঁকার ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ছোটবেলাতেই নাচের জন্য পেয়েছেন জাতীয় শিশু পুরস্কার।

জাকিয়া বারী মম

ছোটবেলায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মফস্বল শহরে থাকা জাকিয়া বারী মম তার মা-কে সাথে নিয়ে টানা ১০ বছর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা এসে নাচ শিখেছিলেন। শিবলী মহম্মদ ও কবিরুল ইসলাম রতন ছিলেন মম’র নৃত্যগুরু। একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসে মম এসব কথা জানান।

আজ থেকে ১৫ বছর আগে অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে দারুচিনি দ্বীপ নামের এক চলচিত্রে অভিনয় করে পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চিত্রনায়িকা মম’ বিটিভি’তে শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’তে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

গান গাওয়ার জন্য ১৯৯৫ সালে এসেছিল এ পুরস্কার। অথচ নাচ কিংবা গানে নয়, এখন অভিনয়েই নিয়মিত তিনি। মম’র হাতে থাকা নতুন দুইটি সিনেমা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। এর একটি খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘ওরা ৭ জন’, অন্যটি অনন্য মামুন পরিচালিত রেডিও। সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘মহানগর’, ‘কন্ট্র্যাক্ট’, ‘রিফিউজী’ বা অতি সম্প্রতি ভিন্ন ধারার কাজ ‘কোহিনূর’-এ ময়লাওয়ালীর চরিত্রে অভিনয় করে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন মম।

জাকিয়া বারী মম একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসে মম এসব কথা জানান। এ সময় চিত্রনায়িকা বলেন, সকালবেলা ট্রেনে চেপে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে রওনা করে ঢাকায় এসে নাচ শিখে আবার রাতে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতাম।

বন্যার পানিতে আর ডুববে না, ভেসে থাকবে বাড়ি

এ ক্ষেত্রে আমার মা আয়েশা আক্তারের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। মা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার চাকরি, তখনকার সমাজব্যবস্থা-সবকিছু সামলে আমাকে নিয়ে যে সংগ্রাম করেছিলেন, তারই পরিণতি হয়তো আমার শিল্পী হয়ে ওঠা।