জুমবাংলা ডেস্ক : ডান্ডাবেরি পরিয়ে যশোর যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর চিকিৎসা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আমিনুরকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা নিশ্চিত করে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে এর আগে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ।
যুবদল নেতা আমিনুরকে চিকিৎসার সময়েও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেন আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা লাভনী। সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়।
তার আগে গত বুধবার সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি আদালতের কাছে সুয়োমোটো (স্বঃপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন।
তখন হাইকোর্ট বলেছিলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত অপরাধীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তও রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে, সে বিষয়ে গাইডলাইন আছে।
তখন আদালত স্বঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেবেন না বলে রিট করার পরামর্শ দেন। তার প্রেক্ষিতেই আমিনুরের স্ত্রী রিট করেন।
ত্রিশ মিনিট সময় দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি আজই বদলে ফেলুন
গত ২ নভেম্বর যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ গ্রাম থেকে পুলিশ আমিনুরকে আটক করে। এরপর ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।