জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ত্রিমোহনী এলাকার একটি দোকানে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে চা পান শেষে টাকা দিচ্ছিলেন মো. মইজউদ্দিন। এ সময় মনির নামে এক যুবক তার চায়ের দামটাও মইজউদ্দিনকে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি দিতে না চাইলে মনির খারাপ ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে মইজউদ্দিন ‘আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম’ বলে সেখান থেকে চলে যেতে চাচ্ছিলেন। এরপরই বিপদের শুরু; শেষ পর্যন্ত প্রাণ যায় মইজউদ্দিনের।
মইজউদ্দিন যখন চলে যেতে চাচ্ছিলেন, তখনই মনির তেড়ে গিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় আরও দুই যুবক ছুটে এসে মইজউদ্দিনকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। চা দোকানি ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে চেষ্টার পরও তাকে রক্ষা করতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই মইজউদ্দিন মারা যান।
পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে মইজউদ্দিনের মৃত্যুর এমনই বর্ণনা উঠে এসেছে। এ ঘটনায় নিহতের বোন নয়ন তারা বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি মনির।
মা ছেড়ে যাওয়ার পর একমাত্র ছেলেকে আগলে রেখেছিলেন মইজউদ্দিন। উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণে বিদেশেও পাঠান। একমাত্র ভরসার সেই লোকটিকে হারিয়ে কান্নাই থামছে না ছেলে মোহনের।
তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই মাকে দেখিনি। আমার বাবা আমাকে কীভাবে বড় করছে উপরের একজন আর আমি জানি। নৃশংসভাবে একজন অসহায় মানুষকে বাবাকে মেরে ফেলল, এটা কি দেশের বিচার?’
নয়ন তারা বলেন, ‘আমার ভাইকে যেভাবে মারছে, আমি চাই সেভাবেই যেন জড়িতদের ফাঁসি হয়।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামলায় অভিযুক্ত মনির, সুজন ও জনি মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাইয়ে জড়িত। তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
খিলগাঁও থানার ওসি মো. দাউদ হোসেন বলন, ‘মামলার পরপরই জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রধান অভিযুক্তকে ধরার জন্য অভিযান চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।