আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের থেকে দশ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়লেন এক ব্যক্তি। ১০ হাজারের পরিবর্তে দিতে হলো পুরো আড়াই লক্ষ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাই শহরের এক বাসিন্দার সাথে। মাত্র ১০ হাজারের বিনিময়ে আড়াই লক্ষ টাকা খুইয়ে চরম বিপাকে ঐ ব্যক্তি।
ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গেছে, গত মে মাসে মুম্বইয়ের যোগেশ্বরীর এক বাসিন্দা, একটি অনলাইন ঋণপ্রদানকারী অ্যাপে ১০ হাজার টাকা লোন নিয়েছিলেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে সমস্ত ঋণ পরিশোধ করার চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু কে জানতো, এ সব কিছুই আসলে ফাঁদ। টাকা হাতে পাওয়ার মাত্র পাঁচ দিন পরেই অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করে ভয় দেখাতে থাকে তাকে।
একাধিক নাম্বার থেকে বারবার তাকে ফোন করা হয়, আর হুমকি দেওয়া হয় টাকা না দিলে তার ছবি বিকৃত করে পরিবারের সদস্য এবং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে। প্রথমে আমল না দিলেও ঘন ঘন ফোন কলে রীতিমত ভয় পেয়ে যান তিনি। শেষমেষ কোনো উপায় না দেখে ঐ ব্যক্তি অপর এক ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে চড়া সুদে টাকা তোলেন তিনি।
টাকা পরিশোধ করে দিয়ে একটু নিশ্চিন্তের নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন কি ফেলেননি দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেলো অচেনা ফোন কল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একই রকম ফাঁদে ফাঁসানো হয় প্রতারিত ব্যক্তিকে। প্রতারকদের জালে জড়াতে জড়াতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। নিজের কাছেও টাকা না থাকায় তিনি আরও ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের সাহায্যপ্রার্থী হন। এভাবে ক্রমে ক্রমে মোট ৬ টি অ্যাপের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বসেন ঐ ব্যক্তি।
কিন্তু প্রতারকদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া কি এতোই সহজ! এরপরেও মোট ৩১ টি নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় তাকে। চারিদিক থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলার পর তাকে বলা হয় একেবারে আড়াই লক্ষ টাকা দিলে সম্পূর্ণভাবে রেহাই দেবে তাকে, কিন্তু দীর্ঘদিনের ক্ষোভে তিনি সেই টাকা দিতে সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেন। এরপর তার ছবি বিকৃত করে তার পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মুঠো ফোনে পৌঁছে দেয় দুস্কৃতি দল। শেষমেষ আবারও ধার করে সেই টাকা শোধ করেন।
অবশেষে পরিবারের কাছে সমস্ত কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি। পরিবারের সহায়তায় শেষমেষ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্রেজিবি, ক্যাশ অ্যাডভান্স, ডাভ ক্যাশ, ট্র্যাকও, অনস্ট্রিম, পাপা মানি, শাটল লোন— এই ছ’টি অ্যাপ ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছিলেন অভিযোগকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।