জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমানে পৃথিবীটা আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে। সবাই মোবাইলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এই তো কিছুদিন আগেও চিঠি লেখার প্রচলন ছিল, কিন্তু মোবাইল আসায় লেখা বা বই পড়ার প্রবণতা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে বইকে ভিষণভাবে স্মরণ করা হয় শুধু মেলাতে।
সেখানে বইয়ের ছড়াছড়ি চলে। চলেল কি হবে। কজনই বই পড়ে বা ক্রয় করে। ওই যে মোবাইল সবকিছু গ্রাস করে ফেলছে। তাই এখন ভালোবাসার মানুষকে আর চিঠি লেখা বা বই উপহার দেওয়া হয় না। আমরা বই উপহার না দিলেও বগুড়ার তরুণ কবি নিখিল নওশাদ ভালোবাসার মানুষকে দেনমোহর হিসেবে ঠিকই ১০১টি বই উপহার দিতে চেয়েছেন।
আজ শুক্রবার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করছেন নিখিল নওশাদ। বিয়ের দেনমোহর হিসেবে টাকা বা সোনাদানা কিছুই দেবেন না। দিতে চেয়েছেন ১০১টি বই। হবু স্ত্রীই নাকি ‘প্রিয় বইগুলোর একটা তালিকা ধরিয়ে দিয়েছেন নিখিলকে। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রেমিক নিখিল টানা এক সপ্তাহ ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন বইয়ের দোকানে ঢুঁ মেরেছেন। তবে ১০১টি বই তিনি খুঁজে পাননি, মাত্র ৭০টি বই সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকি বইগুলো এখন দিতে না পারলেও, বিয়ের পর খুঁজে ঠিকই ভালোবাসার মানুষের হাসিটা দেখতে চান তিনি। এক সঙ্গে বসে দুজন পড়তে চান কবিতা। শোনাতে চান বসন্ত বিলাপ। কারণ, নিখিলের কবিতা শুনে প্রেমে পড়েছিলেন সান্ত্বনা।
জানা গেছে, নিখিলের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের সাতরাস্তা গ্রামে। তিনি ‘বিরোধ’ নামের একটি কাগজের সম্পাদক। পাশাপাশি এক দশক ধরে কবিতা লেখালেখি করছেন। এ ছাড়া বেসরকারি একটি কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে সান্ত্বনা খাতুন উত্তর চেলোপাড়া দাখিল মাদরাসার ইংরেজির শিক্ষক। দুজনেই পড়াশোনা করেছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে। সান্ত্বনা সোনাতলা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।