আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি আনন্দ পিরামলের মামাতো ভাই আদিত্য শাহর বিয়েতে গিয়েছিলেন রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর ইশা আম্বানি। মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানি আবু জানি সন্দীপ খোসলার লেহেঙ্গা পরেছিলেন। আর এই আউটফিটে ইশা আম্বানিকে ভীষণ ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল। তাঁকে অপূর্ব দেখাচ্ছিল তাই তাঁর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার উপায় ছিল না। আদিত্য শাহর বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সেখানে ইশা আম্বানির ছবি দেখা গেল।
কোনও ভারতীয় বিবাহ অনুষ্ঠান উৎসবের থেকে কম নয়। এই কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কারণ, বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই নানা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে যায়। এছাড়াও বিয়ের কদিন আগে থেকেই নাচ গান শুরু হয়। বাড়ি সেজে ওঠে। ধুমধাম করে বিয়ে হয়। আত্মীয়দের ভিড়ে যে পরিবেশ তৈরি হয়, তার অন্যরকম আনন্দ হয়। মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani) এবং নীতা আম্বানিরমেয়ে ইশা আম্বানিরও এরকম অনুভূতি হয়েছে। যিনি তাঁর দেওরের বিয়েতে আনন্দ করার সময় কোনও কমতি রাখেননি।
আসলে, আনন্দ পিরামলের মামাতো ভাই আদিত্য শাহ কিছু সময় আগেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রজ্ঞা সাবুর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছাড়াও, আদিত্য ও প্রজ্ঞার বিয়েতে সম্পূর্ণ পিরামল পরিবার এসেছিলেন। যার ছবি একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে।
মুকেশ আম্বানি তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে প্রথম বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি একটি অসাধারণ লুক ক্যারি করেছিলেন। একই সময়ে, ইশা আম্বানিকে দেখেও চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। তাঁর রয়্যাল লুক দিয়েই সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
ইশা আম্বানি, যিনি দেওরের বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন। সে জন্য তিনি একটি গাঢ় ধূসর রঙের লহেঙ্গা বেছে নিয়েছিলেন। যাকে ভারী প্যানেলের সঙ্গে জাদাউ লুক দেওয়া হয়েছিল। এটি এক ধরনের থ্রি-পিস সেট। যার মধ্য়ে আলাদা আলাদ করে তিনটি পার্ট ছিল। যেমন স্কার্ট, ক্রপ টপ এবং দোপাট্টা ছিল।
মনোটোন প্যাটার্নের ব্লাউজের সঙ্গে ম্যাচ করা দোপাট্টা এবং এলাইন স্কার্ট ছিল। এই সুন্দর আউটফিটটি তৈরি করার জন্য সিল্ক শিফন, জানি ক্যানভাস সাটিনের মতো মিক্সড ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছিল। এই আউটফিটের উপর হ্যান্ড এমব্রয়ডারির অসাধারণ কারুকার্য ছিল। যা দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না।
ইশা যে লেহেঙ্গাটি পরেছিলেন, তার কারুকার্য ছিল দেখার মতোই। তাঁর এই লহেঙ্গার বেসে ভারী এমব্রয়ডারি কারুকার্য করা ছিল। এই এমব্রয়ডারি কারুকার্যে ফুল ও পাতার জ্যামিতিক মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এই আউটফিটকে জরি জরদৌসির পাশাপাশি সোনালি সিকুইন্স দিয়েও সাজানো হয়েছিল। যা ডুয়াল এফেক্ট তৈরি করেছিল। ডুয়াল এফেক্ট তৈরি করার পাশাপাশি স্পার্কল-শাইনি এবং শিমারি এফেক্টও তৈরি করছিল।
চারটি বিয়ে করেও সাধ মিটেনি, প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও যুবক
লেহেঙ্গার মতোই এর ব্লাউজেও মানানসই এমব্রয়ডারি দেখা যায়। যার সঙ্গে পেয়ার করা দোপাট্টা সম্পূর্ণ প্রিন্টেড ছিল। এই ব্লাউজের ডিপ নেকলাইন ছিল দেখার মতো এবং ব্লাউজকে প্যাটার্ন একটি ক্রপ লুক দেওয়া হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।