জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে দেড় মাস পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটি সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারি বর্ষণে এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে ঝুলন্ত সেতুটির পাটাতন ডুবে যায়। এতে সেতুতে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে সেতুটি ভেসে উঠে বলে নিশ্চিত করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির ওপর দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকরা চলাচল করছেন। তবে সেতুটির পাটাতনের বিভিন্নস্থানে কিছু যায়গায় পানি রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুর পাটাতনের পানি আগামীকালের ভেতরে পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে। এরপর পর্যটকদের জন্য সেতুতে ওঠা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে ।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. আরিফ জানান, সেতুটি পুরনো হয়ে গেছে। যদি সেতুটি নতুনভাবে আরও উচুঁতে তৈরি করা হয়, তাহলে পর্যটকরা ঘুরে আনন্দ পাবে।
বগুড়া থেকে আসা পর্যটক মেহেদী হাসান জানান, এখন কাপ্তাই হ্রদে পানি ভরপুর। একেবারে ব্রিজের সঙ্গে লাগানো।
ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে দীর্ঘ দেড় মাস ঝুলন্ত সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ ছিল। এতে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল শুক্রবার সেতুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় হবে।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে অবস্থিত আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি প্রতি বছর বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে তলিয়ে যায়। এতে সেতটিু বন্ধ থাকার ৮-১০ লাখ টাকা রাজস্ব হারায় সরকার।
এই জাতের একটি মুরগির দামই ২ লাখ টাকা, শুধু পায়ের ওজনই দেড় কেজি
তিনি জানান, এ বছরও কাপ্তাই হ্রদের পানিতে সেতুটি টানা ৪৫ দিন ডুবে থাকায় থাকায় ৮-১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। প্রতি বর্ষায় সেতুটি পানিতে ডুবে থাকাকালে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ থাকে। সেতুটি সচল থাকলে সেখানে পর্যটক প্রবেশে দৈনিক ১০-১৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।