আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আড়াইশ’ বছর ধরে দাসপ্রথায় কলঙ্কিত ভূমিকার জন্য ১৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। তবে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনামের মতো সাবেক উপনিবেশের দেশগুলোর অভিযোগ, এলোমেলোভাবে তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাচ সরকার।
দাসপ্রথায় নেদারল্যান্ডস সম্পৃক্ত হয় ১৭ শতকে। স্পেন এবং পর্তুগালসহ সাবেক ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো আগে থেকেই ক্রীতদাস বাণিজ্য করছিল।
ডাচ ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে উপনিবেশ গড়েছিল নেদারল্যান্ডস। বৃহৎ এই অঞ্চলের জমির চিনি, তুলা এবং কফিবাগানে কাজ করতে আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাসদের কিনে নিয়ে যেতো দেশটি।
এশিয়ায়ও দাসপ্রথা চালু করে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তারা আরাকানের লোকেদের দাস বানিয়ে বাটাভিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পাঠাতো।
১৮৬৩ সালে ডাচরা দাসপ্রথা বিলুপ্ত করলেও সুরিনামে ১৮৭৩ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল।
অমানবিক দাস ব্যবসার সেই কলঙ্কিত ইতিহাস মুছতে ও নিজেদের বর্তমানের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়াসেই এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবে ডাচরা।
পাশাপাশি, দাসপ্রথায় নেদারল্যান্ডসের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচারে গঠিত হবে ২০ কোটি ইউরোর তহবিল। দাসত্ব যাদুঘর খুলতে দুই কোটি ৭০ লাখ ইউরো বরাদ্দের পরিকল্পনাও রয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডস তার সাবেক উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা চালিয়েছে। তাদের অমানবিক শোষণের শিকার হয়েছিলেন ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। তবে সুরিনামসহ ডাচ উপনিবেশে থাকা দেশগুলো নেদারল্যান্ডসের এমন সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।