লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঝকঝকে সাদা দাঁতের হাসি সহজেই সবার নজর কাড়ে। তাইতো সবারই চাওয়া থাকে নিজের দাঁত যেন সবসময় ঝকঝকে সাদা থাকে। এর জন্য সকালে ও রাতে দুই বেলা যত্ন নিয়ে দাঁতও ব্রাশ করেন। কিন্তু তারপরও দেখা যায় দাঁতের সমস্যা রয়েই যায়।
অনেকেরই দাঁতে হলদে দাগ পড়তে দেখা যায়। মূলত এর জন্য দায়ী ভুল খ্যাদ্যাভাস, দাঁতের সঠিক যত্ন না নেয়া ও ধূমপান। এসব কারণে অনেকের দাঁতেই হলদে ছাপ পড়ে। এর ফলে দাঁত হারায় তার আসল সৌন্দর্য। হলদে দাঁতের কারণে অনেকে প্রাণখুলে হাসতেও দ্বিধাবোধ করেন।
তবে সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কিছু সমাধানও। তাই চিন্তার কিছু নেই। প্রাকৃতিক উপায়ে ঝকঝকে দাঁত পেতে কয়েকটি খাবার খেতে পারেন। এতে করে দাঁত হবে সাদা ও ঝকঝকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে খাবারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত-
>> গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই চা ও কফি পানের ফলে দাঁতে যে দাগ-ছোপ দেখা যায়, তা দূর হয়ে যায়।
গবেষণায় জানা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের দাঁত ও মাড়ি হয় স্বাস্থ্যকর ও মজবুত। এমনকি এটি দাঁত ক্ষয় ও গিঙ্গিভাইটাসির মতো মাড়ির রোগের ঝুঁকিও কমায়।
>> মাশরুমে লেন্টিনান নামক এক উপাদান থাকে। এটি মুখের মধ্যে প্লাকের কারণে সৃষ্ট দাগ কমায়। এই মাশরুম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মোকাবেলা করে। এর ফলে ভালো ওরাল ব্যাকরিয়ারও কোনো ক্ষতি হয় না।
>> আয়ুর্বেদে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নানা ধরনের তেল ব্যবহারের উল্লেখ আছে। তিলের তেল ব্যবহারে দাঁতে প্লাক সৃষ্টি হয় না, দাঁতের ক্ষয় রোধ হয় ও হ্যালিটোসিস নিরাময় ঘটে। আবার ব্রাশ করার আগে তিল চিবিয়ে খেলেও দাঁতে লেগে থাকা জেদি দাগ-ছোপ পরিষ্কার হয়।
>> ব্রোকোলির স্বাদ অনেকেরই পছন্দ নয়। তবে এই সবজি দাঁত সাদা ও মজবুত করে। এটি প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও খনিজ থাকে। যা দাঁত মজবুত করে এবং ক্ষয় রোধ করে।
>> দাঁতের দাগ-ছোপ দূর করতে আপেল, স্ট্রবেরি, আনারসসহ অন্যান্য টকজাতীয় ফল ও তাদের খোসা উপকারী। এসবে উপস্থিত উপাদান দাঁতের প্লাক ভেঙে দেয়। ফলে দাঁত হলুদ হয় না। ফল খাওয়ার পর অবশ্যই পানি পান করবেন তবে দাঁত মাজবেন না।
>> সেলেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও মিনারেল থাকে। এই দু’টি উপাদান দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত পানি নোংরা, ময়লা পরিষ্কার করে দেয় ও দাঁতের ক্ষতিকারক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।