লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রত্যেক বাবা-মায়ের উপরই দায়িত্ব থাকে সন্তানকে পরিবার ও সমাজের একজন যথাযোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এই দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি রাখেন না বাবা-মা। তবে এক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে একটু বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। আর এর প্রথম পদক্ষেপ ঘর থেকেই শুরু করা উচিত।
বর্তমান যুগেও অনেক পরিবারে ছেলে ও মেয়ের বিভেদ দেখা যায়। খাবার থেকে শুরু করে চলাফেরা এমনকি খেলাধুলাতেও ছেলে-মেয়ের বিভেদ শিশু মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটি মেয়েই শুধু পুতুল বা বাসনপত্র নিয়ে খেলবে, আর ছেলেরা শুধু গাড়ি নিয়ে খেলবে। এসব ধারণা কিন্তু ছেলে-মেয়ারা তাদের পরিবার থেকেই প্রথমে পায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার মেয়েকে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হিসেবে ভবিষ্যতে দেখতে চান তাহলে প্রথম থেকেই তার বিকাশের বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। যেমন:
** বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তার মতামত নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে শিশুর কথা বলার আগ্রহ বাড়বে।
** শিশুরা দুষ্টুমি করবেই। এভাবেই খেলার ছলে মেয়ের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে। কখনো গায়ে হাত তুলবেন না।
** শিশুর সামনে কখনো অন্যদের শারীরিক গড়ন কিংবা ত্বকের রং নিয়ে উপহাস করবেন না। এর প্রভাব পড়বে শিশুর উপর।
** কখনো মেয়েকে বলবেন না ঘরের কাজেও বাড়তি মনযোগ দিতে হবে। ঘরের কাজের গণ্ডি ছাড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখাতে শেখান।
** ধীরে ধীরে শিশুকে ভালো-মন্দ, বিপজ্জনক কাজ, নিরাপদ থাকার কৌশল- এসব বিষয়ে শিক্ষা দিন। এতে শিশু নিরাপদে থাকতে পারবে।
** শিশুকাল থেকেই সন্তানকে সাইকেল চালানো শেখানো, ছবি আঁকা, নাচ-গান ইত্যাদি শেখানো যেতে পারে। এসব শিখলে শিশুর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
** অন্যের সামনে কখনো শিশুকে নাচতে বা গাইতে বলে বিব্রত করবেন না। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়। মনে রাখবেন সবাইকে বিনোদিত করা কিন্তু আপনার কন্যার কাজ নয়।
** সমাজে কন্যাশিশুকে নিয়ে অনেক কুসংস্কার ও ট্যাবু আছে। ‘মেয়েদের এটা করা উচিত, এটা করা উচিত নয়’ ইত্যাদির প্রভাব যেন ছোটবেলাতেই শিশুর উপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মনে করুন আপনিই তার ‘সমাজ’।
আদা খাওয়ার ৫ টি অজানা উপকারিতা! মুক্তি দিতে পারে মারাত্মক কিছু রোগ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।