Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home দাওয়াত ও তাবলিগ হলো দীনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগানোর মাধ্যম
ইসলাম ধর্ম

দাওয়াত ও তাবলিগ হলো দীনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগানোর মাধ্যম

Mynul Islam NadimDecember 2, 20244 Mins Read
Advertisement

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দাওয়াত ও তাবলিগ ধর্মের প্রাণ। দাওয়াতের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! আপনি নিজের রবের পথে দাওয়াত দিন প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে। আর প্রয়োজনে ওদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় দলিলভিত্তিক বাহাস করুন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২৫)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে রসুল! আপনি পৌঁছে দিন, যা আপনার কাছে আপনার রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬৭)।

islamic

দাওয়াত ও তাবলিগ হলো, দীনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগানোর মাধ্যম। যার ভিতর দীনের প্রতি আগ্রহ নেই, দাওয়াতের কাজ হলো, তাকে দীনদার বানানো, মুত্তাকি বানানো। যখন কারও মনে দীনের ব্যাপারে আগ্রহ জাগে, সে আগ্রহ পূরণ করার জন্য তাকে কোরআন-সুন্নাহর সবক নিতে হয়। যারা এলমের মেহনত করছেন, তাদের কাছে এসে ধর্মের শিক্ষা নিয়ে তবেই তাবলিগের মাঠে নামতে হবে। এজন্যই তাবলিগের মেহনত শুরু করার আগে হজরতজি ইলিয়াস (রহ.) দীর্ঘ সময় রশিদ আহমদ গাঙ্গোহী, আশরাফ আলী থানবী, শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা খলিল আহমদ সাহরানপুরীর মতো যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদের সোহবতে থেকেছেন।

হজরতজি ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন ভারতবর্ষের একজন প্রতিথযশা আলেম। তিনি ১৮৮৫ সালে ভারতের কান্ধলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালেই তিনি কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর রশিদ আহমদ গাঙ্গোহীর (রহ.) সান্নিধ্যে থেকে ইলমে শরিয়ত ও তরিকতের উচ্চ মাকাম অর্জন করেন। ১৯০৮ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসানের (রহ.) কাছে বুখারি ও তিরমিজির দরস নেন। এরপর মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরির কাছে বায়াত নেন। এর দুই বছর পর তিনি মাজাহিরু উলুম সাহারানপুরে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর কিছু দিন পর তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিনের বাংলাওয়ালী মসজিদে তাবলিগের মেহনত শুরু করেন। বিংশ শতাব্দীর এই মহান দায়ী, মুবাল্লিগ ও আলেম দাওয়াত ও তাবলিগের ময়দানে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন। সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি নীতি ও আদর্শের মহিমা ফিরিয়ে আনতে ১৯২০ সালে তিনি তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন। তাবলিগ জামাত মানুষকে আল্লাহর পথে চলার দাওয়াত দেয়। ব্যক্তিজীবনের কাজকর্ম, অফিস, ব্যবসাবাণিজ্য, অন্য সবকিছু ঠিক রেখে কোরআন-সুন্নাহ মেনে চলা যে কষ্টসাধ্য বিষয় নয়- তা হাতেকলমে শেখানোই তাবলিগ জামাতের মূল উদ্দেশ্য।

তাবলিগ জামাতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইলিয়াস (রহ.) বলেন, ‘আমি এই ইমানি আন্দোলনের মাধ্যমে প্রত্যেক জায়গায় ওলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ মানুষের মাঝে পারস্পরিক বন্ধন গড়ে তুলতে চাই।’ (মালফুজাত, মালফুজ নম্বর ১০২) ইলিয়াস (রহ.) আরও বলেন, ‘আমাদের এই তাবলিগি মেহনত সুন্দর জীবন গঠন করার মেহনত। আর এর উসুল যথাযথভাবে পালন করার মধ্যেই কামিয়াবি ও সফলতা নিহিত। এই মেহনতের গুরুত্বপূর্ণ একটি উসুল হলো, মুসলমানদের মনমানসিকতা বুঝে তাদের সামনে ইসলামের আহ্বান তুলে ধরা। মুসলমানদের মধ্যে সাধারণত তিনটি স্তর দেখা যায়। এক. হতদরিদ্র শ্রেণি। দুই. উন্নত শ্রেণি। তিন. ওলামায়ে দীন। এই তিন শ্রেণির সঙ্গে যে আচরণ করতে হবে, তা একত্রে এই হাদিসের মধ্যে উল্লেখ আছে, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করল না, বড়দের সম্মান করল না এবং ওলামায়ে কেরামকে ইজ্জত করল না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মালফুজাত, মালফুজ নম্বর ১৩৫)।

ইলিয়াস (রহ.) বলেন, ‘তাবলিগি কাজের একটি উসুল হলো, স্বাধীনভাবে নিজের মনমতো না চলা; বরং নিজেকে ওই সব বুজুর্গের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালনা করা, যাদের ওপর দীনি বিষয়ে আমাদের পূর্ববর্তী আকাবির হজরতরা আস্থা রেখে গেছেন এবং আল্লাহতায়ালার সঙ্গে যাদের খাস সম্পর্কের ব্যাপারটি সর্বস্বীকৃত। রসুলুল্লাহ (সা.)-এর পর সাহাবায়ে কেরামের সাধারণ নিয়ম এই ছিল যে নবীজি (সা.) যাদের ওপর বেশি আস্থা রেখেছিলেন, তারাও তাদের ওপর বেশি আস্থা রাখতেন।

স্বৈরতান্ত্রিক আমলের দুর্নীতির বিবরণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত

পরবর্তী যুগে বেশি আস্থার পাত্র ছিলেন ওই সব বুজুর্গানে দীন, যাঁদের ওপর আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.) আস্থা রেখেছিলেন।’ এরপর তিনি (রহ.) বলেন, ‘দীনের কাজে আস্থাশীল ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা জরুরি। অন্যথায় অনেক বড় ধরনের গোমরাহির আশঙ্কা আছে।’ (মালফুজাত, মালফুজ নম্বর ১৪৩)। আলেমদের কাছে দীন শেখার নিয়তে যাওয়ার ব্যাপারে হজরতজি ইলিয়াস (রহ.) বলেন, ‘আমাদের তাবলিগের সাথিদের তিন শ্রেণির লোকদের কাছে তিন উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে যাওয়া উচিত। ওলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গানে দীনের খেদমতে যাওয়ার উদ্দেশ্য হবে তাদের থেকে দীন শেখা। নিজের চেয়ে নিম্নশ্রেণির লোকদের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্য হবে দীনি কথাবার্তা প্রচার করে নিজের ইমান মজবুত করা। আর বিভিন্ন শ্রেণির লোকদের কাছ যাওয়া উদ্দেশ্য হবে তাদের ভালো গুণাবলি গ্রহণ করা।’ (মালফুজাত, মালফুজ নম্বর ৮৬)।
মাওলানা আল আমিন সরকার

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘ও আগ্রহ ইসলাম জাগানোর তাবলিগ দাওয়াত দাওয়াত ও তাবলিগ হলো দীনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগানোর মাধ্যম দীনের ধর্ম প্রতি মাধ্যম মানুষের হলো
Related Posts
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

December 20, 2025
গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

December 20, 2025
জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

December 19, 2025
Latest News
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

জুমা

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ঋণ মুক্তির দোয়া

ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?

তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

রিজিক

হাদিসের আলোকে রিজিক বৃদ্ধি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী—আলেমদের মতামত ও কোরআন-হাদিসের দলিল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.