আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক ও প্রভাব নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা আরও জোরদার হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প কম সংঘাতমূলক মনোভাব পোষণ করলে ভারতও লাভবান হবে।
তবে নয়াদিল্লি বাণিজ্য সম্পর্কের অস্থিরতার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে, যা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করা অভিনন্দন বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে ‘আমার বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের কম্প্রিহেনসিভ গ্লোবাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ নবায়নের অপেক্ষায় আছি।’
নয়াদিল্লির বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ভারত ওয়াশিংটনের প্রধান অংশীদার হিসেবে থাকবে। এদিকে নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের ভারত সফরের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেটি দেখা বুঝা যায়, দুজনের উষ্ণ সম্পর্ক।
নিরাপত্তার সম্পর্কগুলো সম্ভবত একই থাকবে, তবে ট্রাম্পের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডা অনুসরণ করবেন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্ধৃত্ত রয়েছে এমন দেশগুলোতে শুল্ক আরোপ করবেন।
বাণিজ্যে ভারতের বৃহত্তম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ হাজার কোটি ডলার, ভারতের পক্ষে যেখানে উদ্ধৃত্ত ছিল ৩ হাজার কোটি ডলার।
বাইডেন প্রশাসনের আমলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে যে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা গতি পেয়েছিল, তা কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভারত কেবল সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর নির্ভর না করে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সহ-উৎপাদনের দিকে জোর দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের অধীনে এটি টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।