প্রেমের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না, হয় না সমাজের ছকে বাঁধা কোন নিয়ম! ‘De De Pyaar De’ সিনেমাটি এই বক্তব্যকেই বাস্তবে পরিণত করে—একটি সাহসী ও রোমাঞ্চকর প্রেমের গল্প, যা সমাজের প্রচলিত মানসিকতা চ্যালেঞ্জ করে।
De De Pyaar De সিনেমায় বয়সভিত্তিক প্রেমের চিত্র
এই সিনেমার মূল চরিত্রে রয়েছেন আশিস (অজয় দেবগন), একজন ৫০ বছর বয়সী বিচ্ছিন্ন পিতা, যিনি এক ২৬ বছর বয়সী তরুণী আয়েশার (রাকুল প্রীত সিং) প্রেমে পড়েন। সমাজের চোখে এটি ‘অসম’ সম্পর্ক হলেও সিনেমাটি একে আবেগ, বিশ্বাস ও সম্মানের জায়গা থেকে তুলে ধরে।
Table of Contents
বয়সের ব্যবধান: প্রেমের পথে বাধা নাকি শক্তি?
‘De De Pyaar De’ সিনেমা দেখায় যে প্রেম বয়স দেখে না, বরং হৃদয়ের টানই আসল। আশিস ও আয়েশার সম্পর্ক ঘিরে তৈরি হয় নানা সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা, বিশেষ করে আশিসের প্রাক্তন স্ত্রী মনোরমা (তবু)। কিন্তু সিনেমা এটাও দেখায়, সম্মান ও পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে বয়স কোনও বাধা নয়।
অজয় দেবগনের বলিষ্ঠ অভিনয়
অজয় দেবগন আশিস চরিত্রে একদম মসৃণভাবে মানিয়ে গেছেন। তার পারিবারিক দ্বন্দ্ব, দ্বিধা এবং প্রেমের মাঝে পড়ে যাওয়া মানুষটির রূপায়ণ নিখুঁত। রাকুল প্রীত সিং আধুনিক ও আত্মবিশ্বাসী নারীর প্রতীক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
চমৎকার ডায়ালগ ও হালকা ধাঁচের কাহিনি
সিনেমাটি হাস্যরস, আবেগ ও বাস্তবতা একসাথে মিশিয়ে একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দেয়। সংলাপগুলো যেমন রিফ্রেশিং, তেমনি ভাবনায় উদ্রেককারী।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রয়াস
এই সিনেমাটি সাহস করে দেখায়, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধান নিয়ে সমাজ যেভাবে বিচার করে তা পরিবর্তন করা দরকার। এটি কেবল এক রোমান্টিক কমেডি নয়, বরং একটি সামাজিক বার্তা, যে প্রেম মানে শুধুমাত্র বয়স নয়—বরং বিশ্বাস, সম্মান ও বোঝাপড়ার সম্পর্ক।
দর্শকের মনের পরিবর্তন
সিনেমাটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে দর্শক সহজেই গল্পের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এটি এমন এক বার্তা দেয় যা আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং এক নতুন প্রেক্ষাপটে ভাবতে বাধ্য করে।
‘De De Pyaar De’ সিনেমাটি দেখলে মনে হবে, প্রেমের কোনও সীমানা নেই। বয়স একটি সংখ্যা মাত্র, সম্পর্ক গড়ে ওঠে বোঝাপড়া ও সম্মানের উপর ভিত্তি করে। এই সিনেমাটি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দেবে।
FAQs
- De De Pyaar De সিনেমার মূল থিম কী?
এই সিনেমা বয়সের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও প্রেমের সম্পর্কের স্বাভাবিকতা তুলে ধরে। - অজয় দেবগনের চরিত্রটি কেমন?
তিনি একজন বিচ্ছিন্ন পিতা যিনি এক তরুণীর প্রেমে পড়েন এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। - রাকুল প্রীতের চরিত্র কেমন?
তিনি আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনচেতা এবং প্রেমে বিশ্বাসী একজন নারী। - এই সিনেমাটি কাদের জন্য উপযুক্ত?
যারা সামাজিক স্টেরিওটাইপ ভাঙতে চান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। - সিনেমার বার্তাটি কী?
প্রেম বয়স মানে না, বোঝাপড়াই মূল ভিত্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।