স্পোর্টস ডেস্ক : কোপা আমেরিকার ফাইনাল দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাতে যাচ্ছেন আনহেল ডি মারিয়া। এর সাথেই শেষ হবে আর্জেন্টাইন ফুটবলের বর্ণাঢ্য এক অধ্যায়। মাত্র ৪ বছর বয়সেই বল পায়ে ছুটতে শুরু করেছিলেন ডি মারিয়া। স্থানীয় ক্লাব এল তোরিতোতে খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু এত কম বয়সের শিশুদের জন্য আলাদা দল না থাকায় ডি মারিয়াকে খেলতে হতো তার চেয়ে দুই বছরের বড়দের সঙ্গে।
বয়সে ছোট হলেও দক্ষতায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ডি মারিয়া। শৈশবেই ঝলক দেখাতে শুরু করেন। ডি মারিয়ার বাঁ পায়ের কারুকাজে মুগ্ধ হয়ে যান তার জীবনের প্রথম কোচ রুবেন তোম। যিনি আদর করে এখনও ডি মারিয়াকে ডাকেন ‘এল ফ্লাকো’ (রোগা-পাতলা)। ক্লাবটির হয়ে প্রচুর গোল করতেন ছোট্ট ডি মারিয়া। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো যে, তাকে বেশি বেশি গোল করতে নিষেধ করতেন তোম!
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম ‘দ্য হেরাল্ড’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তোম বলেন, “রোজারিও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ম্যাচগুলোতে দুই অর্ধে ১৫ মিনিট করে খেলা হতো। তবে কোনো দল যদি শুরুর দিকে খুব বেশি গোল করে ফেলত, তাহলে প্রথমার্ধেই খেলা শেষ করে দেওয়া হতো। তাই আমাদের তাকে (ডি মারিয়া) বোঝাতে হতো এটাকে সহজভাবে নেওয়ার জন্য, ‘আনহেল, আমরা সারা সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। দয়া করে ১৫ মিনিটের মধ্যে খেলাটি শেষ করে দিও না’। সে আর তার সতীর্থরা এতটাই ভালো খেলত!”
সেই ডি মারিয়াই পরবর্তীতে হয়ে উঠলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা। ম্যারাডোনা, মেসির সঙ্গে তার নামও উচ্চারিত হতে থাকে। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ ও কোপা জেতা ৩৬ বছর বয়সী উইঙ্গার এখন পর্যন্ত ১৪৪ ম্যাচ খেলে ৩১ গোল ও ৩২ অ্যাসিস্ট করেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।