জুমবাংলা ডেস্ক : মরা মুরগি ফ্রিজে রেখে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে সরবরাহের অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন বশে কয়েকজন শিক্ষার্থীও।
আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ছাত্রদের নিয়ে দেশব্যাপী একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছ। রাজধানীর গরুত্বপূর্ণ বাজারেও চারটি টিম তদারকি করছে। আমি কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটে দেখলাম মেসার্স আল্লাহর দান চিকেন হাউজ ১৮৫ ও ১৯৩ টাকায় সোনালী মুরগি কিনেছে। কিন্তু বিক্রি করছে ২৬০টা কেজিতে, যেটা অনৈতিক। অতিরিক্ত লাভের প্রবণতা রয়েছে।’
দোকানের ভেতরে একটা ফ্রিজও রয়েছে জানিয়ে ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তা বলেন, ‘দোকানের একজন বলেছেন, দুর্বল মুরগি প্রসেস করে ফ্রিজে রাখেন। পরে সেগুলো বিভন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করেন। কিন্তু আরেকজন বলছেন, এসব মুরগি বাসায় নিয়ে নিজেরা রান্না করে খান। সবশেষ স্বীকারোক্তি দিলেন, এগুলো আসলে মরা মুরগি এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করেন। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, ভোক্তা অধিদফতরের সঙ্গে অভিযানে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, দোকানে দুজন ব্যক্তি ছিলেন, শুরু থেকে তারা এলোমেলো কথা বলছেন। একেকজন একেক কথা বলছেন। কারো সঙ্গে কথার মিল নেই। আমরা আসলে জানতে চেয়েছিলাম কত দামে পাইকারি কিনেন এবং খুচরা বিক্রি করনে। মজার বিষয় হচ্ছে তারাই পাইকারি বিক্রি করেন করেন আবার তারাই খুচরা বিক্রি করনে।’
মরা মুরগির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মরা মুরগির জন্য ভেতরে ফ্রিজ রেখেছে। যখন মুরগিটা মারা যাচ্ছে প্রসেস করে ফ্রিজে রেখে পরবর্তীতে হোটেল-রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করছে। যা একেবারেই ঠিক নয়।’
ভোক্তা অধিফতরের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বাজার ঘুরছি। দোকানে কীভাবে কথা বলতে হয় জানছি, পাশাপাশি বিভিন্ন আইনও শিখছি।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পূর্বের মতো ব্যবসা করে যাবেন অনিয়মের মাধ্যমে এটা হবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।