Mantis হলো Insect বা পোকামাকড়ের এমন একটি অর্ডার যেখানে ৩৩টি ফ্যামিলির পরিচয় বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত খুজে পেয়েছে। এখানে ৪৬০টি জেনারের মধ্যে ২৪০০ প্রজাতির Mantis পোকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় প্রজাতি হলো Dead Leaf Mantis। বিশ্বব্যাপী নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিবেশে এ প্রজাতির প্রাণী বাস করে থাকে।
এদের ঘাড় নমনীয়, মাথা ত্রিভুজাকার ও দেহ বেশ লম্বাটে। দীর্ঘায়িত দেহে ডানা থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। এদের সামনের পা শিকারের জন্য অভিযোজিত হয়। সাধারণত তারা Praying Mantis নামেই সবথেকে বেশি পরিচিত।
Dead Leaf Mantis এর সাথে ঘাসফড়িং এর আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের অনেক মিল রয়েছে। ম্যান্টিসগুলি গোপনে শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে। এ প্রজাতির ম্যান্টিস সক্রিয়ভাবে তাদের শিকারের পেছনে ছুটে যায়। এরা সাধারণত এক বছর বেচে থাকতে পারে। শীতল আবহাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক ম্যান্টিস ডিম পাড়ে, এরপর মারা যায়।
সাধারণত শরৎকালেই তারা ডিম পাড়ে। ডিমগুলি শক্ত ক্যাপসুল দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। প্রাচীন গ্রীস ও মিশরে ম্যান্টিসকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হতো। বলা হতো তাদের সুপার-ন্যাচারাল পাওয়ার আছে। ফিলিপাইন ও মালয়শিয়ায় এ প্রজাতির ম্যান্টিসকে সবথেকে বেশি দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।