আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের লা পালমার নগালেস সৈকত থেকে উদ্ধার হয়েছে বিরল প্রজাতির একটি তিমি মাছের মরদেহ। যার পেটের মধ্য়ে পাওয়া গেছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
বিরল প্রজাতির তিমির মৃতদেহটি উদ্ধারের পর মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের। ময়নাতদন্তকারী পশু চিকিৎসকরা জানান, তিমিটির পেটের মধ্য়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। যার কারণে প্রাণ গিয়েছে তিমিটির।
দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকতে ভেসে আসে এ বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। যার পাকস্থলী থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ইউরো বা ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ।
পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ। বিরল এই তিমিটিকে সৈকতেই প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকরা। এরপর তিমিটির পাকস্থলী পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি মহামূল্যবান পাথর।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাথরটি মূলত তিমিটির বমি। এই বমি এতটাই বিরল এবং দামি যে, একে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। দামি সুগন্ধি তৈরিতে তিমির এই বমি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নানান ধরনের শিল্পে ব্যবহার হয় তিমির বমি বা অ্যাম্বারগিস। বাজারে এই অ্যাম্বারগিসের ভীষণ চাহিদা রয়েছে।
স্পার্ম হোয়েল সাধারণত বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে। তবে এই খাবারের খানিকটা হজম করতে পারে না তারা। এই হজম না হওয়া অংশ জমতে থাকে তিমির পেটে। ধীরে ধীরে তা আকারে বাড়তে থাকে, একপর্যায়ে পাথরের মত কঠিন হয়ে অ্যাম্বারগিসে পরিণত হয়। এই অ্যাম্বারগিস আয়তনে বেশি বেড়ে গেলে তা তিমি মাছের পাকস্থলী ছিঁড়ে বের হয়ে আসে এবং এর কারণে মৃত্যু হয় তিমিটির।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে ভেসে আসে ২০০টি তিমির দেহ। কী কারণে তিমিগুলির মৃত্যু হয়েছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। সেই ঘটনার দীর্ঘদিন পর উদ্ধার হল বিরল স্পার্ম হোয়েলের মরদেহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।