জুমবাংলা ডেস্ক : মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশের সোনারপাড়া সমুদ্রসৈকত দুটি অলিভ রিডলি প্রজাতির মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। পঁচে যাওয়া ডিম বাদ দিয়ে এদের একটির পেটে মিললো ৯০ আর অপরটির পেটে মিললো ৯৫টি ডিম। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, এর আগে গত ৬ দিনে সোনারপাড়া, রেজুখালের মোহনা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে ১১টি মা কচ্ছপ ভেসে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে সোনাদিয়া উপকূলে এ পর্যন্ত ৪১টি মৃত মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মৃত কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল। এ ছাড়াও এই কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনটি ডলফিন ও একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছে।
এর আগে রবিবার (ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরও তিনটি মৃত মা কচ্ছপ। এসব কচ্ছপের পেটে মিলেছে ৩১০টি ডিম।
এছাড়া গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এসেছিল আরও একটি মা কচ্ছপ।
অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের এসব সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে আসার পথে মারা পড়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজ ভেসে আসা দুটি কচ্ছপের পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে আসা কচ্ছপটির পেটে ছিল ৯৫টি ডিম। আজ ভেসে আসা দুটি কচ্ছপের পেছনের এবং সামনের একটি সাঁতার কাটানো পাকনা (ফ্লিপার) ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আগে পাওয়া মা কচ্ছপগুলোর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) হিসেব মতে, জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ৪১টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।