মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রভাব দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আব্দুল কাদের টিপু নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
একইসাথে মামলার বিষয়ে বেশি কথা বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের মো. আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমু।
সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়- ঘিওরের বানিয়াজুরি ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে এস এম আব্দুল কাদের টিপুর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল মো. আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমুর।
এর জের ধরেই গত ২০ জুলাই আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায়ের করেন। এরপর শিবালয় থানা পুলিশ আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমুর ছোট ভাই আবুল খায়ের মোয়াজ্জেম হোসেন তপুকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
ভাইকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উক্ত আব্দুল কাদের টিপু ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আরো একাধিক মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।
এরপর গত ২৭ জুলাই রাতে মোবাইল ফোনে এসএম আব্দুল কাদের টিপুর সাথে কথা হয় আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমুর। সেসময় আবারো মামলার বিষয়ে বেশি কথা বললে শিমু ও তার ভাই তপুকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন আব্দুল কাদের টিপু।
মো. আবুল মনুছর মুমাজ্জাদ হোসেন শিমু বলেন, আব্দুল কাদের টিপু জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের বোন জামাই। আওয়ামী ক্ষমতায় থাকাকালীন সে আপেল সাহেবের প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে হয়রানি করেছে। এখন আবার সে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। জমি না পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
শিমু আরো অভিযোগ করে বলেন, টিপু এলাকার অনেক নিরীহ মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মিথ্যা মামলা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে হয়রানি করার অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে এস এম আব্দুল কাদের টিপুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওরা আমার নামে রেকর্ডীয় জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওরাই আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। পরে আমি ওদের নামে শিবালয় থানায় ফৌজদারি মামলা করেছি। ওদের অপকর্ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।