আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাবানলের কবলে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এখনো শত শত লোক নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলটি রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যখন হাওয়াই যুক্ত হয় এর এক বছর পর ১৯৬০ সালে দ্বীপটিতে সুনামির আঘাতে ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এবার দাবানলে দ্বীপটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ৮০ জনে পৌঁছেছে।
লাহাইনা থেকে সরিয়ে নেয়া বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের কারো কারো বাড়িতে লুটপাট হয়েছে, তবে পুলিশ এ খবর নিশ্চিত করেনি।
কোস্ট গার্ড বলেছে, শহরের পোতাশ্রয় এলাকায় পানি থেকে তারা ১৭ জন লোককে জীবিত উদ্ধার করেছে- যারা আগুন থেকে বাঁচতে সাগরের পানিতে লাফিয়ে পড়েছিল।
বেঁচে যাওয়া ও বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যটকদের হোটেল ও ভাড়া বাড়িতে দুর্গত লোকদের রাখার জন্য তারা একটি পরিকল্পনা করছেন।
হাওযাইয়ে এই দ্বীপটিতে আমেরিকার অনেক ধনী ব্যক্তি বাস করেন যার মধ্যে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও আছেন। তিনি ও তার সঙ্গিনী লরেন সানচেজ ইতোমধ্যে দাবানলের শিকারদের জন্য ১০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
গত মঙ্গলবার এই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিলো এবং পরে হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। তবে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও অনেক মানুষের সন্ধান পায়নি কর্তৃপক্ষ।
মাউই দ্বীপের কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এই দাবানলে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে অনেক বছর এবং শত শত কোটি ডলার লাগবে। গভর্নর গ্রীন বলেছেন, এটিই সম্ভবত হাওয়াই রাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
অন্যদিকে মাউইয়ের বন বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বনাঞ্চলের একাধিক জায়গায় দাবানলে শত শত একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।