জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল ইন্টারনেটও। এমন পরিস্থিতিতে দেশে প্রবাসী আয় আসা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। এটা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা। এসবের প্রভাবে ২১ থেকে ২৭ জুলাই রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।
এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। এটি আগের মাস জুনের চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ওই মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর থেকে সারা দেশে পুরোদমে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। এরই প্রভাব পড়ে পুরো মাসের প্রবাসী আয়ে।
প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রণোদনা পান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে।
দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ডলার সংকট। পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে ধীরে ধীরে আরও অবনতি হচ্ছে। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে প্রবাসীদের মধ্যে ‘রেমিটেন্স শাটডাউন’ এর ব্যাপক প্রচারণা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচার গুলিতে কয়েকশত নিরীহ মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশে রেমিটেন্স না পাঠানোর প্রচারণা শুরু হয়েছে। এতে সরকারের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহে ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার ঘটনা এই আতঙ্ককে বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতির সম্ভাব্য ভয়াবহতা টের পেয়েছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকও। এরই মধ্যে ক্ষতি এড়ানোর উপায় ভাবতে শুরু করেছে তারা। প্রথম পর্যায়ে দেশের সব ব্যাংকে বর্তমানের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার কেনার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকর পক্ষ থেকে কয়েকটি ব্যাংককে মৌখিকভাবে বেশি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করা তোলা।
সূত্র মতে, বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে এমন ১২টির মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা অফার করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।