চোখের পলকে প্রযুক্তির দুনিয়া একেবারে বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে ডিপফেক প্রযুক্তি আসার পরে টেকনোলজিকে এখন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। ডিপফেক হচ্ছে এমন এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম যা কোন ছবি, মিউজিক অডিও বা ভিডিওকে বাস্তবের মত করে বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়।
মিথ্যে একটি বিষয়কে পুরোপুরি সত্য হিসেবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি চমৎকার কাজ করতে পারে। মানুষের পক্ষে এটি বোঝা প্রায় অসম্ভব। নিউরাল নেটওয়ার্ক পদ্ধতিতে কম্পিউটারে ডাটা প্রসেসিং করা হয়। এটি এক ধরনের মেশিন লার্নিং প্রসেস যাকে বলা হয় ডিপ লার্নিং।
১৯ শতকে এর ব্যবহার শুরু হয়। তখন একটি ছবিকে অপ্রীতিকর ছবিতে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি প্রযুক্তির স্পর্শ পেয়েছে। নকল ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হয়রানির করা হচ্ছে। তবে ২০১৪ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিখুঁত পদ্ধতিতে ডিপফেকের ব্যবহার চলতে থাকে।
আপনি ডিপফেক নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে শুরুতে আসল ছবি এবং তার ডাটা নিয়ে কাজ শুরু হয়। এরপর নকল ছবিতে তা বসিয়ে দেওয়া হয়। এখানে দুইটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম একসাথে কাজ করে।
একটি তথ্য ইনপুট করতে থাকে এবং অন্যটি নিখুঁত ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে যায়। ব্যক্তিকে এমন ভাবে বিশ্লেষণ করা হয় যেন তার মুখের অবয়ব বা গঠন, কথা বলার স্টাইল সব কিছু হুবহু অনুকরণ করে অন্যের উপর বসিয়ে দেওয়া যায়।
বলিউড বা হলিউডের কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। তাদের নকল বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাস্তবসম্মত উপায়ে ছবি বা ভিডিও তথ্য প্রসেসিং করা হয়ে থাকে। ভুল তথ্য ছাড়ানো, মানহানি করা বা প্রতারণা করার উদ্দেশ্য এ ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। এ প্রযুক্তির যেমন উন্নতি ঘটছে তেমনি অপব্যবহারও বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।