জুমবাংলা ডেস্ক : হরিণ মূলত সুন্দরবন ও চিড়িয়াখানায় দেখা মিললেও সম্প্রতি সরকার বিধি নিষেধ শিথিল করায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন শুরু করেছেন। এমনি একজন উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার অলিনগর গ্রামের মঈন উদ্দিন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে মাত্র ১১ টি চিত্রা হরিণ কিনে মিরসরাই শুরু হয় হিলসডেল মাল্টি ফার্মের যাত্রা। ১১ টি হরিণ আনতে খরচ হয়েছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা। বাড়তে বাড়তে এখন খামারে আছে ১৮ হরিণ। কয়েকদিন আগে তিনটি হরিণ মারা গেছে বজ্রপাতে।
খামার মালিক মঈন উদ্দিন বলেন, হরিণ মূলত শান্তশিষ্ট প্রাণী। এটি লালন-পালন করতে তেমন কোন খরচ হয় না। অন্যাঅন্য গবাদি পশুর মত তারা ঘাস, লতা-পাতা ও দানাদার খাদ্য খেয়ে থাকে। বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হয়।
তিনি আরও বলেন, চিত্রা হরিণ বছরে ১ বার বাচ্চা দেয়। দেড় বছর পর থেকে বাচ্চা প্রসব শুরু করে স্ত্রী হরিণ। জন্মের পর বাচ্চার শরীরে হাত দিলে হরিণ সে বাচ্চাকে সহজে দুধ দেয় না। ছয় মাস পর একটি হরিণের ওজন হয়ে থাকে প্রায় ২০ কেজির বেশি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, হরিণ খামারটি নিয়মিত আমরা পরিদর্শন করি। তাঁরা আইন মেনেই হরিণ লালন-পালন করছেন। হরিণের অনেক প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেখানে এভাবে হরিণ পালন ইতিবাচক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।