স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে নেপাল ক্রিকেট দল। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের তারণে ১৯.২ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় নেপাল। সেই ম্যাচে দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৮ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় পায় ডাচরা।
নেপালের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। বাকি দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আর আজ বাংলাদেশের সঙ্গে অবিশ্বাস্য লড়াই করে নেপাল। দুই ম্যাচে তারা হেরে গেলেও প্রতিপক্ষকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে ২০ ওভারে মাত্র ১১৫/৭ রানে থামিয়ে জয়ের পথেই ছিল নেপাল। কিন্তু শেষ বলে দুই রান করতে গিয়ে রান আউট হয়ে যাওয়ায় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পরও ১ রানে হেরে যায় নেপাল।
সেই ম্যাচের মতো আজও রুদ্বশ্বাস লড়াই করেছে নেপাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেওয়া এই দলটি আজ টস জিতেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।
নেপালের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় নেপাল।
শেষ দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ দলের দলের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স নিয়ে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল বলেন, বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা সত্যিই ভালো করেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। বিশেষ করে টপঅর্ডারে আরো ভালো ব্যাটিং প্রয়োজন।
প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দল নিয়ে নেপালের অধিনায়ক বলেন, নতুন বলে বাংলাদেশ সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। তারা আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। তারা আমাদেরকে চ্যালেঞ্জিং প্রশ্ন করছিল। এরপর আমরা একটু পার্টনারশিপ গড়েছিলাম, কিন্তু টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা আরও ভালো করতে পারত এবং আরও দায়িত্ব নিতে পারত।
নেপালের অধিনায়ক আরও বলেন, আমাদের কন্ডিশনের মূল্যায়ন করতে হবে। মাঠে বল হাতে আমরা ভালোই আছি, ব্যাট হাতে আমাদের উন্নতি করতে হবে। এই দলে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়কে সমর্থন করতে হবে এবং পরের বিশ্বকাপে আমরা আরও ভালো করার আশা করছি।
পাউডেল বলেন, আমরা শেষ দুই ম্যাচে জয়ের জোড়ালো সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত জয় পাইনি। এতে আমরা আমাদের সমর্থকদের মতোই হতাশ। শেষ দুই ম্যাচে লড়াই করেও হেরে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য হৃদয়বিদারক। তবে আমার বিশ্বাস আগামী বছরগুলোতে আমরা সমর্থকদের খুশি করতে পারব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।