মনেই হয়? যেদিন প্রথম ল্যাপটপের চেয়ে পাতলা একটি ডিভাইসে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পন্ন করলেন, বা ট্রেনে বসেই ৪কে মুভি স্ট্রিমিংয়ের স্বাদ নিলেন। আজকের হাই-এন্ড ল্যাপটপ মার্কেটে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে ডেল এক্সপিএস ১৩ প্লাস – আলট্রাবুকের সংজ্ঞাই যেন নতুন করে লিখছে এই ডিভাইসটি। প্রিমিয়াম আলুমিনিয়াম বডি, টাচস্ক্রিন ডিসপ্লের অনবদ্য ক্ল্যারিটি, আর ইন্টেল ইভো প্রসেসরের রকেট-ফাস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে এটি শুধু ল্যাপটপ নয়, একটি স্টেটমেন্ট। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতে এর দাম কত? স্পেসিফিকেশনসহ বিস্তারিত জানতে পড়ুন…
🔷 বাংলাদেশে দাম ও মার্কেট অ্যানালাইসিস
বাংলাদেশে ডেল এক্সপিএস ১৩ প্লাস-এর দাম নির্ভর করে কনফিগারেশনের উপর। অফিসিয়াল ডিলার (যেমন: ডেল অথরাইজড পার্টনার, কম্পিউটার ভিলা) থেকে বেস মডেল (i5-1240P, 8GB RAM, 512GB SSD) পাওয়া যাচ্ছে ৳২,২০,০০০ থেকে ৳২,৪৫,০০০ টাকায়। হাই-এন্ড মডেল (i7-1280P, 32GB RAM, 2TB SSD, OLED ডিসপ্লে) চড়ছে ৳৩,৮০,০০০ পর্যন্ত।
গ্রে মার্কেট সতর্কতা: মতিঝিল বা গুলশানের কিছু দোকানে ৳১,৯০,০০০-এ “ইউএস ইমপোর্টেড” ইউনিট পাওয়া গেলেও, এগুলোতে:
- বাংলাদেশে ডেলের ওয়ারেন্টি কার্যকর নয়।
- ভ্যাট/কাস্টমস ডিউটি এড়ানোর জন্য ডিভাইসের IMEI ব্ল্যাকলিস্ট হওয়ার ঝুঁকি।
মার্কেট ট্রেন্ড:
- ২০২৪-এ ল্যাপটপ ইম্পোর্টে ৩২% ভ্যাট + ৫% সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি প্রযোজ্য, যা মূল্য বাড়িয়েছে।
- ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফিজিক্যাল স্টকে সীমিত অ্যাভেইলেবিলিটি। অনলাইনে ডেল বাংলাদেশের ওয়েবসাইট বা ড্যারাজ স্টোরে অর্ডার করা নিরাপদ।
- আইটি প্রফেশনাল ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে চাহিদা সর্বাধিক – বিশেষ করে 3.5K OLED ডিসপ্লে মডেল।
🔷 ভারতে দাম
ভারতে বেস মডেলের দাম ₹১,৪৯,৯৯০ (আনঅফিসিয়ালি ৳২,০৫,০০০)। অ্যামাজন ইন্ডিয়া বা ফ্লিপকার্টে ডিসকাউন্টে পাওয়া যায় ₹১,৩৪,৯৯০ (৳১,৮৫,০০০)। হাই-এন্ড মডেল (i7, 32GB RAM) সর্বোচ্চ ₹২,৪৯,৯৯০ (৳৩,৪০,০০০)।
বাংলাদেশ vs ভারত:
- ভারতীয় মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে ১৫-২০% কম (ট্যাক্স স্ট্রাকচার ও লজিস্টিকস খরচের কারণে)।
- ভারতে ১ বছর অ্যাক্সিডেন্টাল প্রোটেকশন ফ্রি, বাংলাদেশে এটি আলাদা কিনতে হয় (৳১৫,০০০ অতিরিক্ত)।
🔷 গ্লোবাল মার্কেট প্রাইস
দেশ | বেস মডেল দাম (USD) | বাংলাদেশি টাকায় (৳) |
---|---|---|
USA | $১,২৯৯ | ৳১,৪২,০০০ |
UK | £১,৪৯৯ | ৳১,৯৫,০০০ |
UAE | AED ৫,৯৯৯ | ৳১,৮২,০০০ |
Singapore | SGD ২,৩৯৯ | ৳১,৮৮,০০০ |
মূল্য পতন ও ডিসকাউন্ট:
- ২০২৩ লঞ্চ প্রাইস ছিল $১,৪৯৯। বর্তমানে ব্ল্যাক ফ্রাইডে/প্রাইম ডে-তে অ্যামাজনে $১,০৯৯-এ ড্রপ হয়।
- শীর্ষ বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম: Dell.com, Best Buy, Amazon, Microcenter।
🔷 ফুল স্পেসিফিকেশন ও ফিচার বিশ্লেষণ
ডিসপ্লে: ১৩.৪-ইঞ্চি OLED/IPS প্যানেল (৩.৫কে রেজোলিউশন), ৪০০ নিট ব্রাইটনেস, টাচসক্রিন সাপোর্ট, ইনফিনিটি এজ বেজেল-লেস ডিজাইন – ফটো এডিটিং বা মুভি ভিউইং-এ চোখে জল আনা অভিজ্ঞতা।
পারফরম্যান্স:
- প্রসেসর: ১২র্থ জেনারেশন Intel Core i5/i7 (P-সিরিজ), ১৪ কোর।
- RAM: ৮-৩২GB LPDDR5 (৫,২০০ MHz)।
- স্টোরেজ: ৫১২GB থেকে ২TB PCIe 4.0 SSD – ফাইল ট্রান্সফার স্পিড ৬.৭GB/s!
ব্যাটারি: ৫৫Whr (IPS মডেলে ১৪ ঘণ্টা, OLED-এ ৯ ঘণ্টা)। ৪৫W USB-C ফাস্ট চার্জিং – ৩০ মিনিটে ৪০%।
ইউনিক ফিচার:
- ক্যাপাসিটিভ ফাংশন কী (ফিজিক্যাল বাটন নেই)।
- হ্যাপটিক টাচপ্যাড (ফোরেস ফিডব্যাক টেকনোলজি)।
- ২x Thunderbolt 4, Wi-Fi 6E।
- ১০৮০পি IR ক্যামেরা উইন্ডোজ হ্যালো ফেস আনলক।
বিল্ড কোয়ালিটি: CNC মেশিনড অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম কিবোর্ড প্যানেল – ওজন মাত্র ১.২ কেজি।
https://inews.zoombangla.com/poco-x6-5g-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%93-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf/
🔷 একই দামের অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে তুলনা
১. ম্যাকবুক এয়ার এম২ (৳২,৩০,০০০):
- এক্সপিএসের সুবিধা: উইন্ডোজ ইকোসিস্টেম, টাচস্ক্রিন, হাইয়ার র্যাম আপগ্রেড।
- অসুবিধা: ম্যাকের M2 চিপের ব্যাটারি লাইফ ১৮ ঘণ্টা, যা এক্সপিএসের চেয়ে ৩০% বেশি।
২. এইচপি স্পেক্টার x360 (৳২,১০,০০০):
- এক্সপিএসের সুবিধা: হালকা ওজন, উন্নত ডিসপ্লে কালার অ্যাকুরেসি (১০০% DCI-P3)।
- অসুবিধা: স্পেক্টারে ৩৬০° রোটেটেবল স্ক্রিন, যা ট্যাবলেট মোডে কাজে লাগে।
🔷 কেন এই ডিভাইসটি কিনবেন?
- স্টুডেন্টস: ১ কেজির কম ওজন, ১৪ ঘণ্টা ব্যাটারি – ক্লাস-টু-লাইব্রেরি পারফেক্ট।
- ক্রিয়েটিভস: OLED ডিসপ্লের কালার অ্যাকুরেসি (Delta E<1) প্রিন্ট-লেভেল প্রিসিশন দেয়।
- বিজনেস ট্রাভেলার্স: থান্ডারবোল্ট ৪ দিয়ে ডুয়াল ৪কে মনিটর কানেক্ট করা যায়।
- ইকোসিস্টেম: ডেল মোবাইল কানেক্ট দিয়ে আইফোন/অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে সিমবায়োসিস।
🔷 ব্যবহারকারীদের মতামত ও স্টার রেটিং
রিভিউ ১ (অভিজিৎ, সফটওয়্যার ডেভেলপার):
“কীবোর্ডের টাচ রেসপন্স ভাবিয়েছিল, কিন্তু ১ সপ্তাহে এডজাস্ট হয়ে গেছি! ব্যাটারি ১০ ঘণ্টা চলে, ভিডিও এডিটিংয়ে ল্যাগ জিরো। রেটিং: ★★★★☆”
রিভিউ ২ (তানজিনা, গ্রাফিক ডিজাইনার):
“OLED স্ক্রিনে ইলাস্ট্রেটরের কালারস লাইফলাইকের মতো! কিন্তু ওভেনহিটিং হয় ভারি গেমে। রেটিং: ★★★★”
গড় রেটিং: ৪.৩/৫ (সোর্স: Amazon, TechRadar)।
❓ FAQ (প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন)
১. বাংলাদেশে ডেল এক্সপিএস ১৩ প্লাস-এর দাম কত?
বেস মডেল ৳২,২০,০০০ থেকে শুরু। কাস্টমাইজড কনফিগ (i7, 32GB RAM, 2TB SSD) ৳৩,৮০,০০০ পর্যন্ত।
২. ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন?
IPS ডিসপ্লেতে ১৪ ঘণ্টা (ওয়েব ব্রাউজিং), OLED-এ ৯ ঘণ্টা। গেমিং/ভিডিও এডিটিংয়ে ৫-৬ ঘণ্টা।
৩. ভারতে দাম কম হলে বাংলাদেশ থেকে কিনতে পারব?
না, ডেলের ওয়ারেন্টি কান্ট্রি-স্পেসিফিক। ভারতে কেনা ডিভাইস বাংলাদেশে সার্ভিস পাবে না।
৪. এই দামে বিকল্প কী?
ম্যাকবুক এয়ার এম২ (ব্যাটারি লাইফের জন্য) বা এমএসআই স্টিলথ ১৪ (গেমিং পারফরম্যান্স চাইলে)।
৫. স্ক্রিন বা ব্যাটারি ইস্যু হলে সার্ভিস কোথায় পাব?
ঢাকার বাড্ডা, গুলশানে ডেল অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার। ডিটেলস: ডেল বাংলাদেশ সাপোর্ট।
Disclaimer: এই আর্টিকেলের দাম ও স্পেসিফিকেশন ডেটা ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রযোজ্য। মার্কেট ফ্লাকচুয়েশনের কারণে পরিবর্তন হতে পারে। ডিভাইস ক্রয়前 অফিসিয়াল ডিলার বা ডেল বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে ভেরিফাই করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।