জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহা সন্নিকটে। মানুষ এখন কোরবানির পশু বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোরবানির অনুষঙ্গের চাহিদা বাড়ছে। দা, ছুরির পাশাপাশি মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ির (খাইট্টা) চাহিদা বেড়েছে।
ঈদ সামনে রাজধানীতে কোরবানির অনুষঙ্গের বেচাকেনা বেড়েছে। বিশেষ করে কাঠের গুঁড়ির চাহিদা তুঙ্গে।
সাধারণত তেঁতুল কাঠ দিয়ে খাইট্টা তৈরি করা হয় যাতে মাংস কাটার সময় মাংসে কাঠের গুঁড়া না লাগে। কিছু কাঠ ব্যবসায়ী এ সময়ে এসব সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকেন।
বাজারে বিভিন্ন সাইজের খাইট্টা পাওয়া যায়। প্রকারভেদে ১০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, খাইট্টা সব কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় না। এটি তৈরি করতে হয় এমন কাঠ দিয়ে, যাতে চাপাতির (মাংস কাটার যন্ত্র) কোপে কাঠের গুঁড়া না ওঠে। রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটার জন্য তৈরি করা এসব খাইট্টার অধিকাংশই তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি।
তেতুল গাছের কাঠ দিয়ে খাইট্টা বানানোর কারণ হিসেবে তারা জানান, তেতুল কাঠে সহজে চাপাতির কোপ বসবে না। তাই কাঠের গুঁড়াও উঠবে না। ফলে মাংস নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
রাজধানীর বাড্ডায় রাস্তার ধারে এমনই একটি দোকান সাজিয়ে বসা মো. মিলন বলেন, ‘দুদিন ধরে এখানে বিক্রি করছি। দুদিনে খুব বেশি বিক্রি হয়নি। ঈদের আগে এখনও তিন দিন আছে। আশা করি যা এনেছি সব বিক্রি হয়ে যাবে। আকার অনুযায়ী একটা খাইট্টা ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আছি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। রিকশা চালিয়ে ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকি। ৪-৫ বছর ধরে আমি কোরবানির ঈদের আগে এই ব্যবসা করছি। রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, তার চাইতে এখান থেকে আয় বেশি হয়। পরিশ্রমও কম। কিন্তু সব সময় এই ব্যবসা করা যায় না। ঈদের পরের দিন থেকে আবার রিকশা চালাতে হবে।’
বাড্ডার একটি স’ মিল থেকে ভ্যানে করে খাইট্টা কিনে নিয়ে যাওয়া আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসা খিলগাঁওয়ে। ঢাকায় আছি ১৫ বছরের বেশি। এখান থেকে খাইট্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। বাসার সামনে অবসর সময়ে বিক্রি করব। একেকটি ২৫০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
স’ মিলটিতে খাইট্টা বানানোর কাজ করা খায়রুল বলেন, ‘মাংস কাটার খাইট্টা সব ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় না। ঢাকায় যে খাইট্টা পাওয়া যায় তার প্রায় সবই তেঁতুল কাঠ দিয়ে তৈরি। তেঁতুল কাঠ খুব শক্ত ও চিমটে। এতে সহজে কোপ বসে না। ফলে মাংস কাটতে কোনো সমস্যা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর স’ মিলে কাজ করছি। সচরাচর আমরা মাংস কাটার খাইট্টা তৈরি করি না। তবে প্রতিবছর কোরবানীর ঈদ আসলেই এ কাজ করি। ইতোমধ্যে ১০ হাজার পিসের বেশি বিক্রি করেছি। ঈদের আগে এখনও তিন দিন আছে। এ সময়ে আরও বেশি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।