জুমবাংলা ডেস্ক : নীতিমালা ভঙ্গ করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো ২৫টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট, বায়রা। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (১৮) জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট, বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে শ্রমবাজারটি খোলা হচ্ছে, তা চরমভাবে ব্যাহত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু সুন্দর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা ও আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে, যা কম্পিটিশন অ্যাক্ট, ২০১২ নামে পরিচিত। আমরা আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রপ্তানি হলে এ দুটি আইনকেও উপেক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে এটি সরকারের নিরাপদ ও টেকসই অভিবাসন নীতির পরিপন্থি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকারের মদদ ছাড়া এই সিন্ডিকেট এতদূর আগাতে পারতো না। তাই সরকারকেই এই সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটে সরকারের তিন জন সংসদ সদস্য এবং একজন মন্ত্রী পরোক্ষভাবে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো হলো—অরবিটাল এন্টারপ্রাইজ, আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ ইডজ ইন্টারন্যাশনাল, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, গ্রিন ল্যান্ড ওভারসিজ, বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল, এমিআল ইন্টারন্যাশনাল, ইম্পেরিয়াল রিসোর্জ লিমিটেড, এস এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইরভিং এন্টারপ্রাইজ, আল বোখারী ইন্টারন্যাশনাল, সাউথ পয়েন্ট ওভারসিজ লিমিটেড।
অন্যদিকে, জনশক্তি রপ্তানির জটিলতা নিরসনে ১০ দফা দাবি করেছে বায়রা। তাদের দাবিগুলো হলো—
• অবিলম্বে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর শ্রমিক রপ্তানি নিয়ে মালয়েশিয়ার সাথে যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তি থেকে দেশের সার্বভৌম বিরোধী Article-C (v) and C (vi) of Appendix B of the MoU ধারা সংশোধন করতে হবে।
• সকল বৈধ এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া, লিবিয়াসহ সকল শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখতে হবে।
• বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানিতে FWCMS সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
• ২রা জুন ২০২২ তারিখে JWG মিটিং এ গৃহীত SOP বাতিল বা সংশোধন করতে হবে।
• দূতাবাস, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ে FWCMS কে অফিস খোলার অনুমতি বাতিল করতে হবে।
• সিন্ডিকেটের যে সকল সদস্য মন্ত্রণালয়ের বিনা অনুমতিতে মালয়েশিয়ার জন্য কর্মী বাছাই ও মেডিক্যাল টেস্ট করেছে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে হবে।
• ২০১৬ সালে যে ১০টি সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি করেছে, তদন্ত করে তাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের বিচার করতে হবে।
• ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর যে ২৫টি এজেন্সি সিন্ডিকেট করে শ্রমিক রপ্তানি করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
• সিন্ডিকেটের যে সকল সদস্যের নামে চাহিদাপত্র সত্যায়িত হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে এবং নিয়োগানুমতি বন্ধ রাখতে হবে।
• প্রতিযোগীতা আইন ২০১২ ও ILO কনভেনশন অনুযায়ী সকল বৈধ এজেন্সিকে সকল দেশের শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ-উল ইসলাম, মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদসহ অন্যান্য সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।