জুমবাংলা ডেস্ক : সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় বদলে গেছে ঢাকাবাসীর জীবনচিত্র। সকাল ৯টায় অফিসে পৌঁছানোর জন্য কিংবা সকাল ৮টার ক্লাসে উপস্থিত হতে এখন আর ভোর ৬টায় দৌড়াতে হয় না। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন স্বস্তিতে ভ্রমণ করেন মেট্রোতে। সবার মধ্যে তাড়া আছে কিন্তু উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বা বিরক্তি নেই।
যারা ভিড় এড়াতে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করতেন তারাও এখন মেট্রোতে যাতায়াত করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। কারণ, ঘড়ির কাটায় চলা মেট্রোরেলে যাতায়াতে ট্রাফিক জ্যামের ঝুঁকি নেই। তেমনি নেই মাথা নিচু করে দেরি করে অফিসে পৌঁছানো, কিংবা প্রতিদিন অফিসের বকুনি খাওয়া। স্কুলে দেরি করার জন্য জবাবদিহি করার ঝামলাও নেই।
তবে ছুটিরদিন শুক্রবারে মেট্রোরেল বন্ধ থাকে। আর দাবি উঠল এই দিনে মেট্রোরেল চালুর জন্য। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বইমেলাকে কেন্দ্র করে এই দাবি জোরালো হলো। অনেক পাঠক প্রকাশক শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রকাশকরা বলছেন, শুক্রবার প্রচুর পাঠক বইমেলায় আসেন। এদিন শিশুরাও অভিভাবকদের সঙ্গে মেলা কেন্দ্রে সুন্দর সময় কাটাতে আসে। তাই মেলার এই বিশেষ দিনে মেট্রোরেল চালু থাকা প্রয়োজন।
লেখকরাও সামাজিকমাধ্যমে শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু রাখার পক্ষে কথা বলছেন। লেখক শফিক হাসান বলছেন, অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালু থাকুক। বন্ধের দিনেই মেট্রোরেলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
এদিকে শুধু বইমেলাকে কেন্দ্র করেই নয়, সারাবছরই শুক্রবারে মেট্রোরেল চালু রাখার পক্ষে অনেক পরীক্ষার্থী। এমনই একজন নুরুজ্জামান সাগর। তিনি লিখেছেন, মেট্রোরেল শুক্রবারে সকাল ৮টা-দুপুর ১২ টা ও দুপুর ৪টা-রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা রাখলে যারা বিভিন্নখানে পরীক্ষার্থী ও ভ্রমণে আগ্রহী তাদের অনেক উপকার হতো।
শুক্রবারে মেট্রোরেল কেন বন্ধ থাকবে? কানাডার উদাহরণ দিয়ে নুরুস সাফা নামের এক ব্যক্তি বলছেন, মন্ট্রিয়েল STM-এর বাস সার্ভিস চালু থাকে সপ্তাহের সব দিন দিনরাত ২৪ ঘণ্টা, আর মন্ট্রিয়েল STM মেট্রো চলে সপ্তাহের ৭ দিনই ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। আর বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোর জন্য অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করে স্থির করা হলো মেট্রোরেল চলবে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্রবারে বন্ধ! শুক্রবারে বন্ধ কেন? মেট্রো রেলের সার্ভিস শুরু সকাল ৬টা থেকে নয় কেন শেষ রাত ১২টা পর্যন্ত নয় কেন!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।