দেশের শিক্ষিত যুব নারী ও পুরুষদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে সরকার। বর্তমানে দেশের ৪৮টি জেলায় চলছে এই প্রশিক্ষণ; আরও ১৬টি জেলায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলমান ‘৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় বাড়বে ২৫ শতাংশ, যা প্রায় ৭৫ কোটি টাকা।
উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ৪৮ জেলায় ২৮ হাজার ৮০০ যুব নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রশিক্ষণার্থীদের নগদ ২০০ টাকা ভাতা ও তিন বেলার ৩০০ টাকার খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ চলছে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে।
প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাব সংশোধন নিয়ে ১১ মার্চ, ৩০ এপ্রিল ও ২২ মে তিন দফা বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যাপক চাহিদার কথা তুলে ধরে প্রকল্পটি সারা দেশে সম্প্রসারণের পক্ষে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ২৪ মে সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে মেয়াদ ও বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৬৪ শতাংশই বর্তমানে আয় করছেন, আর ২১ শতাংশের চাকরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ২৫টি কম্পিউটার ও হাইস্পিড ইন্টারনেট-সংবলিত দুটি ল্যাব স্থাপন করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি ল্যাবে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক এবং বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।