জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে চিন্তা করে না। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তাদের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে চিন্তা করে না। শুধু তাই নয়, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি জনগণও স্বাধীনতার ৫৩ বছরে নীরব থেকেছে। সামাজিক ও মানবিক বিষয়ে কেউ কথা বলেনি, সবাই রাজনৈতিক চেয়ার ও ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে জনগণের নির্বাচিত সরকার এসেছে, কিন্তু কোনো দল ১৯৭২ সালের সংবিধানে মৌলিক সংস্কার আনেনি। যারা সংস্কার করেছে, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থে এবং নিজেদের এজেন্ডা প্রতিষ্ঠার জন্যই করেছে। এখন সংবিধান এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। তবে এর জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সর্বসম্মতি প্রয়োজন। এসময় রাষ্ট্র সংস্কারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে জনগণের সর্বসম্মতি এবং সব রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছাকে একত্রিত করার ওপর তিনি জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সেমিনারে রিসোর্সপার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি এই সেমিনার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত ও প্রত্যাশা’ বিষয়ক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. বদিউল আলম মজুমদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া, ইউএনডিপি এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মি. বেনিয়াম গেরেজ ঘি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।