বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি গেইম বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে গেইম পরিচালনাকারী সিঙ্গাপুরের কোম্পানির করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। এর ফলে পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ অনলাইনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেইম বন্ধে হাই কোর্টের আগের আদেশই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সিঙ্গাপুরের কোম্পানি প্রক্সিমা বেটা প্রাইভেট লিমিটেডের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার তা খারিজ করে আদেশ দেয়।
আদালতে প্রক্সিমা বেটার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সামির সাত্তার। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব। গত বছরের ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘বিপজ্জনক’ সব গেইম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
পাশাপাশি দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, লাইকি, পাপজিসহ অনলাইন গেইম এবং ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
পরে ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। এর মধ্যে রিটে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হয়ে প্রক্সিমা বেটা এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। রিটকারীর আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, “আদালতের এ আদেশের ফলে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে পাবজি নিষিদ্ধই থাকবে।”
প্রক্সিমা বেটার পক্ষে তাদের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, বাংলাদেশে গেইমটি নিষিদ্ধ করার কারণে সারা বিশ্বে তাদের কোম্পানির সুনাম ‘নষ্ট হচ্ছে’। ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে তারা বোঝানোর চেষ্টা করেন, পাবজি খেলে শিশুদের কোনো ক্ষতি হয় না। ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাবজি চালু আছে।
রিটকারীর আইনজীবী পল্লব বলেন, “বাংলাদেশের কনটেক্সটে এটা যায় না, ভারতসহ অন্যান্য যেসব দেশে এ ধরনের গেইম চালু আছে, তা নিয়ন্ত্রণে তাদের যে মেকানিজম আছে তা আমাদের দেশে নেই। সিঙ্গাপুরি এ কোম্পানির বাংলাদেশে কোনো অফিস নেই, তাদের কোনো অনুমোদনও নেই। তারা অবৈধভাবে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
এসব ভিডিও গেইম খেলে শিশুদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে, এ ভিডিও গেইমের মাধ্যমে শিশুদের সহিংসতার ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে আদালত এ আদেশ দিয়েছে।” গত বছরের ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর অনলাইন গেইস বন্ধের আদেশ চেয়ে এ রিট করা হয়।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।