জুমবাংলা ডেস্ক : সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু। পদ্মাসেতু পার হয়ে এ সেতুটি দিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে রাজধানী ঢাকায়। উন্নয়ন সমৃদ্ধি আর যোগাযোগের অপার সম্ভাবনার দুয়ার খোলার স্বপ্নপূরণে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষ।
এপারে নড়াইলের কালনাঘাট ওপারে গোপালগঞ্জের শংকরপাশা। মাঝে প্রবাহিত মধুমতি নদীতে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৭ দশমিক ১০ মিটার প্রশস্ত কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।
কালনা সেতুতে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে বেনাপোল, যশোর, খুলনা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো। ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ১০০ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার। এশিয়ান হাইওয়ের আওতায় সরাসারি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে ঢাকার সঙ্গে ভারতেরও।
এছাড়া শিল্পশহর যশোরের নওয়াপাড়া এবং মোংলা বন্দর ও সাতক্ষীরা স্থলবন্দরের যোগাযোগ সহজ হবে। যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে। গড়ে উঠবে শিল্প-কলকারখানা, তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানেরও।
লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, “আজকের যোগাযোগ ব্যবস্থার যে অভূতপূর্ব সাফল্য আমরা দেখছি তাতে প্রান্তিক চাষী ও কৃষকের শক্তিশালী বেষ্টনী তৈরি হওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
এসব স্বপ্নপূরণে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল অংশে ‘এক্সপ্রেসওয়ে’ সড়ক নির্মাণের বিষয়টি প্রকল্পাধীন।
কালনা সেতু প্রকল্প ব্যবস্থাপক নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, “এটা বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের একটা ব্রিজ। আমরা বলি ন্যানশন নোস ব্রিজ অর্থাৎ এটা আর্স টাইপর ব্রিজ, বাংলাদেশে এ ধরনের ব্রিজ প্রথম। জাইকার সহায়তায় এই প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
উভয় পাশে ছয়লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার আর সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অর্থায়ন করছে কালনা সেতুতে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর হাত দিয়েই উদ্বোধনও হবে কালনা সেতু, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।