বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : করোনা মহামারির সময় নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন অনলাইনে ছবি আঁকার প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই যুক্তরাজ্যের মানুষদের ছবি একে দিতেন। শখের বসে গড়ে সেই প্রতিষ্ঠানই এখন মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স নিয়ে আসছে দেশে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে রাখছে অবদান।
বলা হচ্ছে অনলাইনে ছবি আঁকার প্লাটফর্ম মার্ক ড্রয়িং কোম্পানির কথা। দেশের তিন তরুণ রফিকুল হাসান, আমির হামজা এবং রেজাউল করিম কাজল এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পরে তারা আরেক বন্ধু মো: মুরাদ হোসেন কে তাদের সাথে সংযুক্ত করেন।
জানা গেছে, রফিকুল, আমির হামজা এবং কাজল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন। ছবি আঁকতে পছন্দ করেন তারা। ক্লাসের ফাঁকে, অবসর সময়ে বিভিন্ন ছবি আঁকতেন। এই শখকেই নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিজেদের অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন মার্ক ড্রয়িং কোম্পানি। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে মানুষের ছবি একে দেন তারা।
এই তরুণরা জানান, করোনাকালীন সময়ে সমগ্র বিশ্ব ঘরবন্দী অবস্থায় ছিল। সেই সময় এমন একটি প্লাটফর্ম শুরু করা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কোনো কিছুই তাদের পক্ষে ছিল না। তবে নিজেদের সততা, মেধা এবং পরিশ্রমের কারণে আজ তারা সফল। বর্তমানে অনলাইনে ছবি অর্ডার করার মাত্র সাতদিনের মাথায় তারা ছবির ডেলিভারি দিচ্ছেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে।
এই তরুণেরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ ব্যক্তির প্রায় ৩০ হাজার প্রোট্রেইট একে দিয়েছেন তারা। এর মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স দেশে আসছে। যা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে।
তারা আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের বাহিরে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটেও নিয়ে যেতে চাই এবং দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।