জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের কৃষিখাতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে উন্নত খাদ্যগুণসমৃদ্ধ ‘শিমুল আলু’। জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে কাসাভা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১১০ বিঘা জমিতে করা হয়েছে এই কাসাবা চাষ।
গেল বছর পরীক্ষামূলকভাবে কাসাভার চাষ হলেও এবারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কাসাভা চাষ হয়েছে। জেলার মাটি ও আবহাওয়া কাসাভা চাষে উপযোগী হওয়ায় কাসাভা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, কাসাভা চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা হাফেজ মোস্তফা কামাল। গত বছর ২০ বিঘা জমিতে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে কাসাবা চাষ করেন। গেলো বছরের সাফল্য দেখে এবার পতিত পড়ে থাকা জেলা বন বিভাগের ১১০ বিঘা জমিতে কাসাবা চাষ করেছেন।
স্থানীয়রা তার কাসাবা চাষ নিয়ে ঠাট্টা করলেও নিজের প্রচেষ্টা আর কৃষি বিভাগের পরামর্শে তার পতিত জমিতে প্রথম কাসাভা চাষ করে সাফল্য দেখিয়ে সবার নজর কেড়েছেন। কাসাভা চাষে সেচ ও সার, নিড়ানি লাগেও কম। বছরে একবার কাসাবা চাষ করা গেলেও শুরুতে সাথী সফল হিসেবে রঙ্গিন জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষে কাসাভা ঘরে তুলতে পারবেন তিনি।
চাষি মোস্তফা কামাল মনে করেন, চলতি ডিসেম্বরে প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি কাসাবা উত্তোলন করতে পারবেন তিনি। এতে তার প্রতি বিঘা জমিতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হবে। কাসাভা গাছের কোনো কিছুই ফেলা যায় না। এর পাতা সবজি হিসেবে কিংবা ভাজি করেও খাওয়া যায়। গাছ দিয়ে গোখাদ্যসহ জৈব সার তৈরি হয়। কাসাভা থেকে সাগু দানা, বার্লিসহ পোশাক ও ঔষুধ শিল্পের কাঁচামাল তৈরি হয়।
তরুণ উদ্যোক্তা হাফেজ মোস্তফা কামালের কাসাবা ক্ষেত দেখে কাসাভা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রাও।
সম্প্রতি তার কাসাভা ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। মোস্তফা কামালের পতিত জমিতে কাসাবার চাষ দেখে অভিভূত তারাও। কাসাভা চাষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন তারা।
প্রকল্প পরিচালক জানালেন, কাসাভা চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।