জুমবাংলা ডেস্ক : রংবেরঙের এসব তালপাখা তৈরী করেন কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আতালপাড়া, যোগীরভবণ ও আড়োলা এই তিন গ্রামের নারীরা।
পুরুষেরা সংসারের হাল টানেন আর নারীরা গৃহস্থালির পাশাপাশি তালপাখা তৈরি করে সংসারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।গরমে তালপাতার পাখার বাতাস মন এবং হৃদয়কে জুড়িয়ে দেয়। দেশজুড়ে চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মেলায় রংবেরঙের পাখা বিক্রি হতে দেখা যায়।
পাইকড় ইউনিয়নের এই গ্রামগুলোর মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতের শেষে বসন্তকালে অর্থাৎ ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় কাঁচা তালপাতা বিছিয়ে শুকানো হয়। পুরুষেরা কাঁচা বাঁশের কাজ করেন। আর নারীরা সুই-সুতা দিয়ে পাখা বাঁধানো ও রঙের কাজ করেন। পাখার চাহিদা মেটাতে গরম মৌসুমে নারী-পুরুষের দম ফেলার ফুরসত নেই।
চুলায় ভাত-তরকারি তুলে দিয়ে পাখা তৈরির কাজ নিয়ে বসেন তাঁরা। শিশু-কিশোরেরাও লেখাপড়া ও খেলাধুলার পাশাপাশি মা-বাবার সঙ্গে পাখার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে এ মৌসুমে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা আসেন পাখা নিতে। আবার অনেকে প্রান্তিক কারিগরদের আগাম টাকা দিয়ে পাখা তৈরি করিয়ে নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।