জুমবাংলা ডেস্ক : সাগরগর্ভে দৃশ্যমান হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারিত অংশ। নির্মাণ শেষে এই রানওয়েতে যখন বিমান ওঠানামা করবে তখন দুই পাশে দেখা যাবে বিশাল জলরাশি। ১০ হাজার ৭শ ফুট দীর্ঘ এই রানওয়ের তেরশো ফুট থাকবে সমুদ্রের মাঝে। এটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে।
এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। যা এ বছর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক ইউনুস ভুঁইয়া জানান, তৈরি করা হচ্ছে নতুন টার্মিনাল ভবন, বসানো হচ্ছে গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, সেন্ট্রাল লাইন লাইট, সমুদ্র বুকের ৯০০ মিটার পর্যন্ত প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং, ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম, নিরাপত্তা প্রাচীর ও বাঁকখালী নদীর উপর সংযোগ সেতু। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। তবে শুধু রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য খরচ দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন ৪০টি বিমান ওঠা-নামা করছে, তবে কাজ শেষ হলে এই সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন।
আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হলে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে যা সেখানকার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ।
কক্সবাজারের রানওয়ে ও অবকাঠামো সব ধরনের বিমান চলাচলের জন্য উপযোগী না হওয়ায় রানওয়ে সম্প্রসারণসহ বিমানবন্দর আধুনিকিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সব কাজ শেষ হলে বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭ ও বোয়িং ৭৪৭ এর মডেলের যাত্রী বোঝাই বিমানও এখান থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। এছাড়া এখানে রিফুয়েলিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।